রিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা সুভাষ চন্দ্রের

Spread the love

২০২০ সালে যখন মহামারীর মধ্যে নিজের ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ উদ্ধার হয় সেই সময় রিয়া চক্রবর্তীকে দারুণ কটাক্ষ, মিডিয়া ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কেউ কেউ তো ডাইনি তকমাও দিয়ে দেন। কিন্তু সম্প্রতি সিবিআইয়ের তরফে এই কেসের ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে রিয়া চক্রবর্তী একেবারেই ক্লিনচিট পেয়েছেন। সেই ঘটনার পর এদিন জির প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ চন্দ্র ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রীর থেকে।

কী বললেন সুভাষ চন্দ্র?

সুভাষ চন্দ্র এদিন স্বীকার করে নেন যে মিডিয়ার তরফে রিয়া চক্রবর্তীকে এই কেসের অন্যতম অভিযুক্ত বানানো হয়েছিল। কিন্তু এটা আত্মহত্যার ঘটনাই ছিল। তাই তিনি সর্বসমক্ষে ক্ষমা চান রিয়া চক্রবর্তীর কাছে।

এদিন এক্স অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে লেখেন, ‘সুশান্ত সিং রাজপুতের মার্ডার কেসে সিবিআইয়ের তরফে ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস, বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের অভাবেই হয়েছে এটা। অস্পষ্টতার কোনও অবকাশ নেই। অর্থাৎ এটার মানে এতই দাঁড়াচ্ছে যে কোনও কেস এই ঘটনায় তৈরি হয়নি। অতীতের কথা স্মরণ করে আমার মনে হয়েছে মিডিয়ার তরফে রিয়া চক্রবর্তীকে অন্যতম অভিযুক্ত ঠাওড়ানো হয়েছিল এই কেসে, যেটার নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই সময়ে জি নিউজে থাকা এডিটর এবং রিপোর্টাররা।’

তিনি এদিন আরও লেখেন, ‘অন্যরা জি নিউজকে ফলো করেছিল সেই সময়। জি নিউজের মেন্টর হিসেবে তাদের সবাইকে বলব সাহস দেখিয়ে ক্ষমা চাইতে। আমি রিয়া চক্রবর্তীর কাছে ক্ষমা চাইছি যদিও আমি এতে কোনও ভাবেই জড়িত ছিলাম না। আমি একমুখী রুদ্রাক্ষর মতো। বাইরে, ভিতরে এক রকম।’বম্বে হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সতীশ মনশিন্ডে তাঁর এক বক্তব্যে বলেছেন যে সিবিআই গোটা কেসটার পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করেছে। সমস্ত ডিজ বিবেচনা করেছে, খতিয়ে দেখে তারপরই ক্লোজ করেছে। তিনি এদিন একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে নিয়ে যে ভুলভাল তথ্য ছড়ানো হতো, তাঁকে দোষী বানানোর চেষ্টা করা হতো সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বাদ দেননি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য রিয়াকে যে অবর্ণনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সেই বিষয়ে কথা বলতে। রিয়ার আইনজীবী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঁর (রিয়ার) নামে যে ভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে কী আর বলি! ওই সময় মহামারীর জন্য সকলেই টিভি দেখত, সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রেখেছিল। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে অবর্ণনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কোনও দোষ না করেও তাঁকে ২৭ দিন জেলে কাটাতে হয়েছে। আমি ওকে স্যালুট জানাই যে উনি এবং ওঁর পরিবার এত কিছুর পরও চুপ থেকেছেন।’ সেই ঘটনার পরই জির প্রতিষ্ঠাতা ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রীর থেকে।

প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার করা হয় অভিনেতার দেহ। ৩৪ বছর বয়সে তাঁর এই রহস্যমৃত্যু ঘিরে সেই সময় বিস্তর জলঘোলা চলেছে। বিহার পুলিশের থেকে এই কেস নিয়ে নেয় সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে এদিন তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট মুম্বইয়ের স্পেশ্যাল কোর্টে পেশ করা হয়েছে। এবার কোর্ট ঠিক করবে যে তাঁরা এই রিপোর্ট গ্রহণ করবে নাকি আরও তদন্তের নির্দেশ দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *