চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাঝেই হঠাৎ করে জাতীয় রাজনীতি সরগরম রোহিত শর্মাকে নিয়ে। কংগ্রেসের মুখপাত্র শামা মহম্মদের রোহিতকে নিয়ে বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরেই সমাজের বিভিন্নমহল থেকে উড়ে আসছে পক্ষে-বিপক্ষের মতামত। বলা বাহুল্য, গুটিকয়েক রাজনীতিবিদ ছাড়া কার্যত সকলেই রোহিতের বডি শেমিংয়ের শিকার হওয়াকে নিন্দাজনক ঘটনা বলেই মত প্রকাশ করছেন।
ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের পিতা এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেন। কেননা যোগরাজের মতে, এমন ঘটনা শুধু পাকিস্তানেই দেখা যায়। যোগরাজ নিজের রাগের কারণও জানিয়েছেন। তিনি জানান যে, দেশের ক্রীড়াবিদরা তাঁর কাছে নিজের জীবনের চেয়েও দামি। তাই ক্রীড়াবিদদের অসম্মান তিনি কোনওভাবেই সহ্য করবেন না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে যোগরাজ বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটার, মানুষ ও দেশ তাঁর কাছে জীবনের চেয়েও প্রিয়। যদি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমন একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন, যে কিনা দেশকে গর্বিত করেছে, তাহলে সেই রাজনীতিবিদের লজ্জা হওয়া উচিত।’
যোগরাজ পরক্ষণেই বলেন, ‘ওদের কোনও অধিকার নেই আমাদের দেশে থাকার। ক্রিকেট আমাদের ধর্ম। আমরা নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারায় রোহিত ও বিরাটকে নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। ওদের পাশে থাকা উচিত। এই নিয়ে আমি নিতান্ত হতাশ হয়েছিলাম। এই ধরণের ঘটনা পাকিস্তানে ঘটে। ওদের (পাকিস্তানের) প্রাক্তন ক্রিকেটাররা আলোচনা করে, কে বেশি কলা খায় সেই বিষয়ে। এই বিষয়ে (রোহিতের বডি শেমিং নিয়ে) কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।কোনওভাবেই এই সব সহ্য করা যায় না। আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম, ওঁকে (কংগ্রেস নেত্রীকে) ব্যাগপত্র গুছিয়ে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিতাম।’
উল্লেখ্য, দুবাইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ লিগ ম্যাচের দিনে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র শামা মহম্মদ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের নিরিখে রোহিত শর্মা বেশি মোটা। আর অবশ্যই ওঁ ভারতের ইতিহাসে সবথেকে খারাপ অধিনায়ক।’ শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেত্রী দাবি করেন যে, রোহিত অত্যন্ত মাঝারি মানের খেলোয়াড়। ভাগ্যক্রমে ভারতের ক্যাপ্টেন হয়ে গিয়েছেন।
কংগ্রেস নেত্রীর এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুরু হয় দেশজুড়ে। বিশেষ করে নেটিজেনজদের একচেটিয়া ক্ষোভের মুখে পড়েন শামা মহম্মদ। বিসিসিআই ও জাতীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফেও নিন্দা করা হয় সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদের এমন মন্তব্যের।