শিবশক্তি পয়েন্টে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করল Chandrayaan 3

Spread the love

চিন, আমেরিকাদের হারিয়ে চাঁদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় তথ্য জানতে পেরেছে ইসরো(Isro), সৌজন্যে চন্দ্রযান থ্রি। ভারতের তৃতীয় চাঁদ মিশন চন্দ্রযান থ্রি, গত বছর একটি বড় সাফল্য। সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইসরো। ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছিল। তারপর থেকে, চন্দ্রযান থ্রি ইসরো বিজ্ঞানীদের চাঁদ সম্পর্কিত একাধিক তথ্য পাঠিয়েছে, যা চাঁদকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে বোঝার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। এবার আরও একবার ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, বিক্রম ল্যান্ডার নিয়ে চাঁদে বসে দুর্দান্ত আবিষ্কার করেছে প্রজ্ঞান রোভার। রোভারটি চাঁদের শিবশক্তি পয়েন্টের কাছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকা থেকে পাথরের টুকরোর নমুনা এবং তাদের উৎপত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে।

কী আবিষ্কার করেছে প্রজ্ঞান রোভার?

ইসরো জানিয়েছে যে প্রজ্ঞান রোভারটি এক চন্দ্র দিনে চন্দ্র পৃষ্ঠে প্রায় ১০৩ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সবটা পর্যবেক্ষণ করেছে।এটি ম্যাঙ্গিনাস এবং বোগুস্লাভস্কি ক্রেটারের মধ্যবর্তী নেক্টেরিয়ান সমভূমি জুড়ে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেয়েছে অবিশ্বাস্য জিনিস।। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই পুরো এলাকা নিয়ে খুবই আগ্রহী। ভারতের বিজ্ঞানীরা তা করে দেখিয়েছে। উল্লেখ্য চন্দ্রযান-৩ যে জায়গায় অবতরণ করেছিল সেই জায়গাটির নাম শিবশক্তি পয়েন্ট দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পয়েন্ট ধরেই চাঁদে হাঁটার সময়, প্রজ্ঞান এক সেন্টিমিটার থেকে ১১.৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের ছোট ছোট পাথরের টুকরো খুঁজে পেয়েছে। ছোট ছোট গর্তের প্রান্ত, ঢাল এবং মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল এই শিলাগুলি। এদের কোনওটিরও ব্যাস নাকি দুই মিটারের বেশি ছিল না।

উল্লেখ্য, ইসরো(Isro) ২৮ কেজি ওজনের প্রজ্ঞান রোভারটি বিক্রম ল্যান্ডারে রেখে চাঁদে পাঠিয়েছিল। চন্দ্রের মাটি বিশ্লেষণের জন্য রোভারে ক্যামেরা এবং যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছিল। আর ইসরো এবার নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফেরার জন্য চন্দ্রযান ফোর পাঠাবে। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন যে তাঁদের পরবর্তী চাঁদ মিশন হল চন্দ্রযান-ফোর, এটি ‘শিবশক্তি’ পয়েন্ট থেকে চাঁদের নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। উল্লেখ্য, ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছিলেন যে ভারতের পরবর্তী চন্দ্র মিশন চন্দ্রযান-ফোর-এর চূড়ান্ত পরিকল্পনা চলছে। এরই মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পেস ডকিং স্টেশন এবং নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল (এনজিএলভি) প্রস্তুতিও চলছে, অনুমোদনের এলেই চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু করা হবে।

নতুন আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা আরও জানতে পেরেছেন যে প্রজ্ঞান রোভারটি যখন শিবশক্তি পয়েন্টের পশ্চিম দিকে প্রায় ৩৯ মিটার এগিয়ে গিয়েছিল, তখন সেখানে পাওয়া পাথরের সংখ্যা এবং আকার আবার অনেকটাই বেশিই ছিল। সমীক্ষা অনুসারে, শিবশক্তি পয়েন্টের পশ্চিমে প্রায় দশ মিটার ব্যাসের একটি গর্ত এই শিলাগুলির উৎস হলেও হতে পারে। উল্লেখ্য, চাঁদ সম্পর্কে এই নতুন তথ্যটি এই বছরের শুরুতে গ্রহ, অনুসন্ধান এবং গ্রহে গিয়ে বাসযোগ্যতার আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও প্রকাশ করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *