শৌচাগারে ঝুলছিল নার্সের দেহটা! তখনই কতগুলো ছেলে এসে… 

Spread the love

শিলিগুড়িতে বেসরকারি হাসপাতালের আবাসনে নার্সের দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে আবাসনের একটি শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় অর্চনা থাপা নামে ওই নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ দেহ লোপাট করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা বাধা দিলে তুমুল বচসা তৈরি হয়। এর পর পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

নিহত অর্চনা থাপা দার্জিলিং পাহাড়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি শিলিগুড়ি শহরের বর্ধমান রোডের একটি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন। শহরের মিলনপল্লিতে একটি আবাসনে থাকেন ওই নার্সিংহোমের কর্মীরা। সেখানেই থাকতেন অর্চনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই আবাসন নিয়ে তাদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে আবাসনে অচেনা ব্যক্তিদের আনাগোনা নিয়ে তারা বারবার অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু ফল মেলেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবাসনের নার্সদের হঠাৎ বেরিয়ে যেতে দেখেন তারা। এর পর প্রায় ২৫ জন যুবক একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সেখানে পৌঁছয়। আবাসনের সামনে শোরগোল দেখে সেখানে পৌঁছন স্থানীয়রা। এর পর জানা যায়, আবাসনের এক নার্স আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেন স্থানীয়রা। খবর দেন থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এর পর আবাসনের ভিতরে ঢুকে দেখা যায় একটি শৌচাগারে শাওয়ারের পাইপ থেকে ঝুলছে তরুণী নার্সের দেহ। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের দাবি, ওই নার্সকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘এখানে মৃতদেহ লোপাট করার চেষ্টা চলছিল। স্থানীয়দের তৎপরতায় রোখা গিয়েছে। পুলিশকে না জানিয়ে দেহ কেন নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *