সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিল পেশের পর শনিবার রাতে তাতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে বুধবার এই বিল পেশ হয়েছিল লোকসভায়। তুমুল বিতর্কের পর সেদিন গভীর রাত ২ টো নাগাদ বিল পাশ হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। এরপর বিল যায় রাজ্যসভায়। রাজ্যসভাতেও বিল পাশের পর, তা অনুমোদনের জন্য চলে যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। শেষমেশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাতে স্বাক্ষর করেন। ফলত, সংসদে পেশের ৩ দিনের মাথাতেই এই বিল আইনে পরিণত হয়।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী ‘ওয়াকফ’ শব্দের অর্থ ‘ঐক্যবদ্ধ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও উন্নয়ন’। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে গেজেটিয়ারে সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই আইন বলছে,কোনও এলাকায় কোনও জমি ওয়াকফ কি না, সেই সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক। আইন অনুযায়ী, বোর্ডে এব্যাপার থাকতে পারবেন অমুসলিম প্রতিনিধিরাও। তাতে থাকবে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারের নিয়ন্ত্রণ। প্রসঙ্গত, বিল নিয়ে লোকসভায় বিতর্ককালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) দাবি করেছিলেন,’ আমি মুসলিম ভাই-বোনদের স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছু নেই।’ এদিকে, এই আইন রুখতে এই বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলার পথে হেঁটেছে ডিএমকে।
এর আগে বুধবার গভীর রাতে সংসদের নিম্নকক্ষে এই বিল পেশ করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু লোকসভায় এই বিল পেশ করেন। সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত এই বিল নিয়ে বিতর্ক চলে লোকসভায়। লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছিল ২৮৮ টি, বিলের বিপক্ষে ২৩২ টি ভোট পড়ে। এরপর বিল যায় সংসদের উচ্চকক্ষে। সেখানে ১২৮-৯৫ ভোটের ব্যবধানে রাজ্যসভা থেকে বিল পাশ হয়ে যায়। এরপর নিয়ম মতো তা যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। শনিবার রাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলত আইনে পরিণত হতে এই বিল পেয়ে গেল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর।