সপ্তমীর রাতে ঘোরাই কাল হল তরুণীর?

Spread the love

বন্ধুদের সাথে ঘোরা ফেরা আর ফটো তোলার ধূমই কি কাল হল বছর ২০ এর এক তরুণীর।সারা দিনই বন্ধুদের নিয়ে ব্যস্ত থাকত সে। নানা ধরনের পোজ দিয়ে ফটো তোলা, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট প্রতিনিয়ত নিজের নানা ছবি,রিলস পোস্ট করতেন তিনি। সেই উদ্যতই কি সব শেষ করল এই তরুণীর?কলকাতার বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিল তুহিনা। বেশ ভালোই দিন কাটছিল। দিন দিন তরুণীর জীবন যাপন অন্য রকম হয়ে উঠছিল বলে খবর।

ঘটনার সূত্রপাত, সপ্তমীতে ঠাকুর দেখতে গেছে মেয়ে,খুব দেরি করছিল সে। বারবার ফোন করে মা। কিন্ত ফোন তোলে না সে। অবশেষে মাঝরাতে ফেরে মেয়ে। ব্যস এরপর শুরু হয় মা, মেয়ের অশান্তি। ভীষণ বকুনি দিতে শুরু করেন মা। আর মায়ের বকুনি সহ্য করতে পারছিল না মেয়ে। এরপরই দাঁ নিয়ে মাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন গুণধর মেয়ে।রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মা। এরপর দিকবেদিক শূণ্য হয়ে যায় তার। বুঝতে পারেন সে অন্যায় করেছে।

প্রতিমা দর্শন করে দেরি করে বাড়ি ফেরা নিয়ে অশান্তি। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। মাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা তরুণীর। এর পর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন নিজে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল জলপাইগুড়ির ওল্ড পুলিশ লাইনে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃতার নাম তুহিনা রায়। জলপাইগুড়ির ওল্ড পুলিশ লাইন এলাকার বাসিন্দা তিনি। দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন তুহিনা। ফিরতে বেশ অনেকটা রাত হয়। তাতেই মায়ের সঙ্গে বচসা বাধে তরুণীর। কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরবর্তীতে যা বিরাট আকার নেয়। তুহিনাকে মারধর করেন তাঁর মা। অভিযোগ, এর পরই মাকে এলোপাথাড়ি কোপান তুহিনা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়ে যান তুহিনা। এর পর নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। মা ও মেয়ে দুজনকেই উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পথেই মৃত্যু হয় তুহিনার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা। পুজোর মাঝে এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *