মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কলেজ বলে পরিচিত যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। সেখানে সরস্বতী পুজো বন্ধ করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী সাব্বির আলির বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উলটে ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দেবাশিস কুমারকে। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মঙ্গলবার বিকাশ ভবন থেকে এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বদলে কি দেবাশিস কুমারকে বলির পাঁঠা করা হল?
যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলি দুষ্কৃতী সাব্বির আলি ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোদ, পুজো করলে কলেজের ছাত্রদের প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি। ছাত্রীদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। নির্বিঘ্নে পুজো করার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছাত্রছাত্রীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কলেজের সামনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করে পুজো করানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
সরস্বতী পুজোর দিক কলেজে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁকে ঘিরে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তোলেন ছাত্রীরা। যাতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে হয় শাসকদলকে। অভিযোগ ওঠে, সাব্বির আলির বিরুদ্ধে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেবাশিস কুমারকে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও পদক্ষেপ করেননি তিনি। মঙ্গলবার বিকাশ ভবন থেকে জারি এক নির্দেশিকায় দেবাশিস কুমারকে ওই পদ থেকে সরিয়ে বসানো হয় অরূপ বিশ্বাসকে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ তার নামে এখনও কেন কোনও পদক্ষেপ করল না সরকার? কেন বলির পাঁঠা করা হচ্ছে দেবাশিস কুমারকে? না কি যে কোনও উপায়ে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি ঝাড়তে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।