রামায়ন ধারাবাহিকে রামচন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিলেন অরুণ গোভিল। তিনি এখন বিজেপি সাংসদ। সেই বিজেপি এমপি অরুণ গোভিল রবিবার মীরাট জেলে যান। এখানে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি রামায়ণ অভিযানের’ আওতায় পুলিশ অফিসার ও বন্দীদের মধ্যে রামায়ণ বিতরণ করেন। সৌরভ হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত মুসকান ও জেলে থাকা সাহিলকেও রামায়ণ দিয়েছেন অরুণ গোভিল। তিনি বলেছিলেন যে তাঁরা উভয়েই রামায়ণকে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করেছিলেন। খবর লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি রামায়ণ অভিযান শুরু করেছি। তা এখন সংশোধনাগারেও বিতরণ করা হয়েছে। রামায়ণ সকল বন্দী ও আধিকারিকদের দেওয়া হয়েছিল। সকল কয়েদি শ্রদ্ধার সাথে রামায়ণ গ্রহণ করে মাথা নত করলেন। জয় শ্রীরাম স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল গোটা জেল। মীরাট হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাহিল ও মুসকানকেও রামায়ণ দেওয়া হয়েছিল, তারা উভয়েই রামায়ণকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করেছিলেন। অরুণ গোভিল বলেন, মুসকান ও সাহিলকে যখন রামায়ণ দেওয়া হয়, তখন তাদের চোখে অনুশোচনার অশ্রু ছিল। তিনি বন্দিদের বুঝিয়ে বলেন, রামায়ণ শুধুমাত্র একটি গ্রন্থ নয়, জীবনের সঠিক দিশা নির্ধারণে অনুপ্রেরণার উৎসও। অতীতকে মুছে ফেলা যায় না, কিন্তু ভবিষ্যতকে রূপ দেওয়া যায়।
অরুণ গোভিল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ লেখেন, ‘আজ ভারতরত্ন চৌধুরি চরণ সিং জেলা সংশোধনাগারে বাড়ি বাড়ি রামায়ণ অভিযানের আওতায় বন্দিদের মধ্যে শ্রী রামচরিতমানস বিতরণ করা হয়েছে। রামায়ণ দেওয়ার সাথে সাথে পুরো কমপ্লেক্সটি জয় শ্রীরাম মন্ত্রোচ্চারণের সাথে প্রতিধ্বনিত হয়ে ওঠে এবং একটি আধ্যাত্মিক ও ভক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করে। এর পাশাপাশি, জেলের আধিকারিক ও কর্মীদের মধ্যে শ্রী রামচরিতমানসও বিতরণ করা হয়েছিল, যাতে প্রত্যেকে ভগবান শ্রী রামের আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা পান। ’
প্রসঙ্গত উত্তরপ্রদেশের মীরাটের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল মুসকান ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত প্রকাশ্যে আসছে তাঁর স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং স্ত্রীর প্রেমিক সাহিল শুক্লার নানা কীর্তি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ৪ মার্চ রাতে স্বামীকে হত্যার পর তাঁর দেহাংশ নিজের সঙ্গে রেখেই ঘুমিয়েছিলেন মুসকান। শুধু কাটা মুন্ডু এবং হাতগুলি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন প্রেমিকের বাড়িতে। সৌরভের মুন্ডু এবং কাটা হাত অন্তত ২৪ ঘণ্টা সাহিলের নিজের ঘরে ছিল। ধড় এবং বাকি দেহাংশ রাখা ছিল মুসকানের ঘরে। খাটের বাক্সে দেহাংশ ভরে তার উপরেই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। পরে প্রেমিকের সাহায্যে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে স্বামীর দেহাংশগুলি তিনি ভরে ফেলেন। ড্রাম ভরাট করে দেন সিমেন্ট দিয়ে।