আজ, বুধবার সাতসকালে গুলি চলল স্বরূপনগরে। স্বরূপনগর ব্লকের অন্তর্গত দত্তপাড়া উঁচুপোলের কাছে হঠাৎ গুলির শব্দে হকচকিয়ে যান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তারপর তা শুনে সেখানে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ছুটে গিয়ে দেখেন ওই এলাকারই এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়। ওই যুবককে পিছন দিক থেকে দুটি মোটরবাইকে করে আসা ছজন দুষ্কৃতী এসে পথ আটকায়। তারপর তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবক ইসারুল গাজী (৩২) বাড়ি থেকে মোটরবাইকে করে স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারালি গ্রাম থেকে স্বরূপনগর থানার ডাক বাংলোর দিকে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ইসারুল গাজীর পথ আটকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু, কেন খুন, এটার পিছনে কোনও রাজনৈতিক ইস্য়ু আছে কিনা সেট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা। আতঙ্কের বাতাবরণ বিরাজ করছে স্বরূপনগরের তারালি গ্রামে। যে দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে করে এসেছিল তারা ইসারুলের পূর্ব পরিচিত কিনা তা নিয়ে খোঁজখবর করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশিরভাগ দুষ্কৃতীই অপরিচিত ছিল ইসারুলের কাছে। ওরা কথাও বলে ইসারুলের সঙ্গে। তার মধ্যেই শুটআউটের ঘটনা ঘটে। আজ সকাল ৬টায় এই ঘটনা ঘটেছে স্বরূপনগরের দত্তপাড়া উঁচুপোলের কাছে। এই খুনের ঘটনার পিছনে পুরনো শত্রুতা অথবা ব্যবসায়িক কারণ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ লাগোয়া দত্তপাড়া ঘন বসতিপূর্ণ। ইসারুলকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তার কাছ থেকে কিছু একটা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। ধস্তাধস্তি শুরু হয় ইসারুলের সঙ্গে। তার মধ্যেই ইসারুলের পেটে এবং বুকে গুলি চালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আর তাঁর গায়ে থাকা কোট খুলে নিয়ে চম্পট দেয়। ওই কোটের মধ্য়ে দামি কোনও জিনিস ছিল বলে অনুমান।
এছাড়া এখন ইসারুলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতের পরিবারের সদস্যদের। এমনকী জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদেরও। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ইসারুলকে স্থানীয় শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মৃত ব্যক্তির কাছে দামি কোনও জিনিস ছিল। সেটা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই তাঁকে গুলি করা হয়। দুষ্কৃতীদের ধরতে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে।