হাওড়ার সাঁতরাগাছি রেলস্টেশনে ধরল পুলিশ

Spread the love

বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশের জন্য রুটি–রুজিতে টান পড়েছে নাগরিকদের। তাই পেটের দায়ে ওপার বাংলা থেকে বহু নাগরিক এপার বাংলায় চলে আসছে। তার উপর নিত্য উৎপীড়ন সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই অবৈধ পথে কাঁটাতার পেরিয়ে এপারে আশ্রয় নেওয়া চেষ্টা করছে। আর ধরাও পড়ে যাচ্ছে। ইন্দো–বাংলাদেশ সীমান্ত যেসব রাজ্যে আছে সেখান দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। অনেক সময় জঙ্গি থেকে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে। এবার হায়দরাবাদ থেকে বাংলাদেশ যেতে গিয়ে নাবালক–সহ চারজন গ্রেফতার হয়েছে।

এদিকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এখন অত্যন্ত কড়া ভূমিকা নিচ্ছে বিএসএফ। এমনকী খুব তৎপর রাজ্য পুলিশও। আর আজ, সোমবার হায়দরাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার পথে গ্রেফতার হল এক নাবালক–সহ চার বাংলাদেশি রোহিঙ্গা। এদের হাওড়ার সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনের চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এপারে চলে আসা এবং বসবাস করার মতো ঘটনা ঘটছে। আবার অবৈধ পথে ওপারে যাওয়া এখনও লেগে আছে। যা সত্যিই উদ্বেগের।

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম মহম্মদ আলম (২৩), রিয়াসুল ইসলাম (২০), বেগম দিলবার (৩৪) এবং রবিউল ইসলাম (১৬)। এরা সুদূর মায়ানমার থেকে বহুদিন আগে বাংলাদেশে এসেছিল। সেখানে থাকাকালীন নানা কাজ করছিল। তারপর এরাই একটি রিফিউজি ক্যাম্পে ছিল। ওখানে থাকার সময় ২০২৪ সালের শেষে বিনা কাগজপত্রতেই অবৈধপথে ভারতে ঢুকে পড়ে। আর হায়দরাবাদে চলে যায়। এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশ। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করত এই চারজন। তবে হায়দরাবাদে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় এরা আবার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ধরা পড়ল।

বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা সীমান্তে একসপ্তাহে ১৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক এবং দু’‌জন ভারতে দালাল ধরা পড়েছে। আবার এই হায়দরাবাদ থেকে যারা হাওড়া এসেছিল তাদের পিছনেও কোনও দালাল আছে বলে মনে করছে পুলিশ। রবিবার এই বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের দলটি সাঁতরাগাছি স্টেশনে আসে। চারজনের দল ভিড়ের মাঝে মিশে যায়। কিন্তু এই চারজনকে দেখে সন্দেহ হয় জিআরপি’‌র। তাদের তখন আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাদের কাছ থেকে বৈধ কোনও কাগজপত্র মেলেনি। আর তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ। সোমবার হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *