দেখতে দেখতে ২০ দিন অতিক্রান্ত! আরজি কর কাণ্ডের রহস্যের জট এখনও খুলতে পারেনি তদন্তকারীরা। বরং গত ২০ দিনে সিবিআইয়ের তরফে এই মামলা নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বয়ান আসেনি। ৩৬ ঘণ্টা টানা ডিউটির পর ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন চেস্টা ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, পরে খুন করা হয় তাঁকে।
এই মামলা নিয়ে শুরু থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন টলি তারকারা। বাদ নেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও(Srijit Mukherjee)। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের সোচ্চার হলেন ‘জাতিস্মর’ পরিচালক। আপতত সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে ভাইরাল ৯ই অগস্ট সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার ও নির্যাতিতার বাবার ফোনালাপ। মেয়ের দেহ উদ্ধারের পর আর জি কর থেকে তিনবার ফোন দিয়েছিল নির্যাতিতার বাবার কাছে, তিনবার তিন রকম কথা!
সেই নিয়েই এদিন ফেসবুকে লিখলেন সৃজিত। পরিচালক লেখেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মৃত চিকিৎসক তরুণীর বাবা-মা’র মধ্য়েকার হাড়হিম করা ফোন কল রেকর্ডিং। ক্রাইম সিনের সিসিটিভি ফুটেজ, মৃতের বাবা-মা’র এলাকা কর্ডনিং না করার দাবিকে জোরালো করে। প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকদের বিবৃতি যা স্পষ্ট করছে, ইনকুয়েস্ট রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্তর ফারাক রয়েছে… ১৫ দিন পরেও চুপ সিবিআই! আমার মনে হয় না, আমার শহর ছেড়ে কথা বলবে যতদিন না সুবিচার মিলছে।’
এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিও ক্লিপে প্রথমবার এক মহিলা কন্ঠ নিজেকে আরজি করের ডেপুটি সুপার বলে দাবি করেন। মৃতার বাবাকে জানানো হয় তাঁর ‘মেয়ের শরীর খারাপ, দ্রুত হাসপাতালে চলে আসুন’। দ্বিতীয়বারও দ্রুত হাসপাতালে যেতে বলা হয় নিহত নির্যাতিতার মা-বাবাকে। তৃতীয় বার ফোন করে বলা হয় ‘মেয়ে হয়তো আত্মহত্যা করেছে’।
আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ২০দিন অতিক্রান্ত। টানা ১৪দিন আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সন্দীপ ঘোষ। ১৬ দিন ধরে তদন্তের পর এখনও এই মামলা নিয়ে ধোঁয়াশায় সিবিআই। আর জি কর-কাণ্ডে মিসিং লিঙ্ক জোড়ার চেষ্টায় সিবিআই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালের মর্গে এসেছিল সিবিআই। এখানে অনিয়ম রয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ অগস্ট ভোর ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। কিন্তু শ্মশানের রেজিস্টারের কপি বলছে অন্য কথা। পানিহাটির যে শ্মশানে চিকিৎসক তরুণীকে দাহ করা হয়েছিল সেখানের রেজিস্টারে লেখা, ‘মৃত্যুর সময় দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট।’ এটা কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই! কবে মিলবে এর উত্তর? সুবিচার পাবে নির্যাতিতা চিকিৎসক? কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকেই তাকিয়ে বাংলা।