হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে বার্তা তৌহিদের

Spread the love

কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন রক্তক্ষয়ী হয়ে ওঠে। তার জেরে পতন হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের। পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তাঁকে ভারত ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দেয়। বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা সেটা ভালভাবে মেনে নেননি। নানা ভার–বিরোধী মন্তব্য ধেয়ে আসতে শুরু করে। তবে এবার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। এই ‘‌ট্রাভেল ডকুমেন্ট’‌ দেওয়ার জেরে যে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে কট্টরপন্থীরা একটু চাপে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেস স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের একটা বন ভূমিকা আছে। সেই তখন থেকে বঙ্গবন্ধুর দেশের সঙ্গে ভারতের রক্তঋণের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। নয়া অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে আসার পর থেকে দু’‌দেশের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। তখন শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে থাকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়। পরে অবশ্য বিষয়টি থিতিয়ে গিয়েছে। আর তাই মহম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট যে কোনও দেশ যে কোনও ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের সেটা ঠেকানোর উপায় নেই। তবে কোনও মামলায় যদি আদালত শেখ হাসিনাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন, তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

শনিবার দিন নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী সেবা সংঘ পুজোমণ্ডপ পরিদর্শন করেন মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে অস্বস্তি আছে। যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। তবে আমাদের মধ্যে যে সুসম্পর্ক আগে ছিল সেটা এখনও বজায় থাকবে। সম্পর্ক উন্নয়ন উভয়েরই দরকার। দু–একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দুর্গাপুজো উদ্‌যাপন সুন্দরভাবে হচ্ছে। ছোটখাটো কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশাবাদী যে কোনও রকম ঝামেলা ছাড়াই ভালভাবে পুজো উদ্‌যাপন সম্পন্ন হবে।’

ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে যে ‘‌ট্রাভেল ডকুমেন্ট’‌ দিয়েছে তাতে তিনি অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন। বেশিদিন থাকতে পারবেন না। ভিসা আবেদন করে যেতে পারবেন ভিন দেশে। এটা বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা মেনে নিতে নারাজ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও আপত্তি নেই। যদিও এখন দেখার বিষয় অন্যান্য ইস্যুতে বাংলাদেশ কেমন পদক্ষেপ নেয়। তাতে ভারতের সঙ্গে আগের মতোই শান্তিপূর্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে কিনা। যেটা দু’‌দেশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *