কলকাতা শহরে একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসছে। প্রশ্ন উঠছে কাউন্সিলরের চোখের সামনে দিনের পর দিন ধরে বাড়ি উঠল, কিন্তু কেন কাউন্সিলর সব জেনেও চোখ বুজে থাকলেন? সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে ওই সমস্ত বাড়ির কি অনুমোদন আছে? যদি না থাকে তবে সেখানে জলের লাইন গেল কীভাবে? বাড়ি যখন বেআইনি তখন সেখানে জলের লাইন গেল কীভাবে?
এদিকে কয়েকমাস আগে গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল হেলে পড়া বাড়ি। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছিলেন বেআইনি বাড়িতে যাতে কোনওভাবেই জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়া হয়। সেই মতো আলাদা করে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন কলকাতার পুর কমিশনার। তাতে বলা হয়েছিল বাড়ির কমপ্লিশন সার্টিফিকেট না থাকলে সেই বাড়িতে জল ও ড্রেনেজ কানেকশন দেওয়া যাবে না।
এদিকে কলকাতা শহরে একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা হয়েছে বলে খবর। এরপরই এনিয়ে জোর শোরগোল। এখানেই প্রশ্ন উঠছে ওই বাড়ি গুলির আদৌ অনুমোদন রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু অনুমোদনহীন সেই বাড়িতে জলের কানেকশন গেল কীভাবে? তবে কি এখানেও পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট পুরসভার আধিকারিকদের মধ্যে কোনও বেআইনি লেনদেন থাকে?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাধারণত প্রমোটাররাই বেআইনিভাবে মিস্ত্রি ডেকে জলের কানেকশন টেনে নেন। সব জেনেও চুপ থাকেন কাউন্সিলর? কোনও জায়গায় কাউন্সিলর যদি কোনও আপত্তি তোলেন তখন এনিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে পুরসভা। আসলে এই জল ও নিকাশি নিয়ে বাস্তবে পুরসভার নজরদারির অভাব রয়েছে। তারই সুযোগ নেন অসাধু প্রমোটার। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যাঙ্ক যেহেতু সেই জমির উপর লোন দেবে না সেকারণে সেখানে লোনের ব্যবস্থা থাকে না।
এদিকে শেক্সপীয়র সরণী ও জওহরলাল নেহরু রোডের ক্রসিং, মোমিনপুর, গুরুসদয় রোড ও বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ক্রসিং, তপসিয়া-সহ বহু এলাকায় হেলে পড়া বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। এর বাইরেও একাধিক বাড়ি ও বহুতল রয়েছে যার কোনও অনুমোদন নেই। বছরের পর বছর ধরে সকলের চোখের সামনে হচ্ছে। অথচ সব জেনেও চুপ করে থাকে পুরসভা। এমনকী বাম আমলের ঘাড়েও দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বহুতলগুলি তৈরি হয়েছে দু তিন বছর আগে। সেক্ষেত্রে কারা এই বহুতলগুলি তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন দিল?