২ ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার রাশিয়ার! মুখ খুলল ব্রিটেন

Spread the love

মস্কোয় ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে দুই ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল রাশিয়া। অভিযোগ, ওই দুই ব্রিটিশ কূটনীতিক গোপনে রাশিয়ার মাটিতে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন। এদিকে, এই অভিযোগকে খণ্ডন করেছে ইউকে। যুক্তরাজ্যের সাফ কথা এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝে এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ, যেখানে ইউক্রেন ও ব্রিটেন দুই দেশই ইউরোপের অংশ।

সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তি দাবি করেছে, রাশিয়ার ফেডারাল সিকিউরিটি সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই দুই কূটনীতিবিদ ব্যক্তিগত ভুয়ো তথ্য দিয়ে অন্য একটি দেশে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছেন। যা নাশকতা ও গেয়েন্দাগিরির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ, যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি বলে দাবি করেছে মস্কো। এদিকে, অন্য একটি বিবৃতিতে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মস্কোর তরফে ব্রিটিশ দূতাবাসের অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ মস্কো রাশিয়ান ভূখণ্ডে অঘোষিত ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কার্যকলাপ সহ্য করবে না।’ এদিকে, লন্ডনে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রকের অফিস বলছে, ‘এটা প্রথমবারই রাশিয়া আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে, এমনটা নয়।’ রাশিয়া দুই কূটনীতিককে দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে বলেছে, তবে যুক্তরাজ্য জানায়নি তারা পাল্টা কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে কি না। 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় থেকে দ্বিপাক্ষিক সহমতে কূটনীতিবিদদের বহিষ্কার রাশিয়ার ক্ষেত্রে নতুন ঘটনা নয়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালের শুরু থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমি দেশগুলি এবং জাপান থেকে ৬৭০ জন রাশিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাল্টা তার জবাবে মস্কো ৩৪৬ জন পশ্চিমি কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এই সংখ্যাটি গত ২০ বছরের মোট সংখ্যার চেয়েও এই সংখ্যাটি বেশি। 

গত বছর ৭ জন ব্রিটিশ কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করেছিল রাশিয়া। সেই সময়ও ব্রিটেন ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’। সেই বহিষ্কারের ঘটনায় সেপ্টেম্বরে ৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, আর নভেম্বর মাসে ১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যার প্রভাব দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *