৫২টি নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের অনুমোদন দিল মোদী ক্যাবিনেট

Spread the love

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর(Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিএস) বেসামরিক ও সামরিক ক্ষেত্রে আরও ভালো ভূমি ও সামুদ্রিক ডোমেন সচেতনতার জন্য তার স্পেস বেসড সার্ভিলেন্স (এসবিএস) মিশনের তৃতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সুসংহত সদর দফতরের অধীনে প্রতিরক্ষা মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল সচিবালয় দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

মোদী সরকার এই অনুমোদনের বিষয়ে নীরব থাকলেও বোঝা যাচ্ছে যে ক্যাবিনেট কমিটি যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, নজরদারির জন্য নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথ এবং জিওস্টেশনারি কক্ষপথে কমপক্ষে ৫২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে। ২৬,৯৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রস্তাবে ইসরোর ২১টি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির দ্বারা নির্মিত ৩১টি উপগ্রহ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এসবিএস ১ ২০০১ সালে বাজপেয়ী সরকার দ্বারা শুরু হয়েছিল এবং নজরদারির জন্য চারটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, কার্টোস্যাট ২ এ, কার্টোস্যাট ২ বি, ইরোস বি এবং রিস্যাট ২। এসবিএস ২ ২০১৩ সালে ছয়টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এসেছিল, কার্টোস্যাট ২ সি, কার্টোস্যাট ২ ডি, কার্টোস্যাট ৩ এ, কার্টোস্যাট ৩ বি, মাইক্রোস্যাট ১ এবং রিস্যাট ২ এ। নতুন সাফ হওয়া এসবিএস ৩ দেখায় যে ভারত আগামী দশকের মধ্যে ৫২ টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে। এইচটি জানতে পেরেছে যে তিনটি পরিষেবা তাদের স্থল, সমুদ্র বা বায়ু-ভিত্তিক মিশনের জন্য ডেডিকেটেড উপগ্রহ থাকবে।

সরকার জানুয়ারিতে ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ সামরিক উপগ্রহ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের জন্য একটি লেটার অফ ইনটেন্ট স্বাক্ষর করার সাথে সাথে ভারতের লক্ষ্য হ’ল এমন সক্ষমতা অর্জন করা যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শত্রু সাবমেরিন সনাক্ত করতে পারে এবং ভারতের সাথে স্থল ও সমুদ্র সীমান্তে তার শত্রুদের দ্বারা অবকাঠামো নির্মাণের ট্র্যাক করতে পারে।

এসবিএস ৩ মিশনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক জেনারেল অ্যাটমিকসের কাছ থেকে ৩১টি প্রিডেটর ড্রোন অধিগ্রহণের মাধ্যমেও সহায়তা করবে কারণ প্ল্যাটফর্মটির অস্ত্র প্যাকেজ ছাড়াও খুব শক্তিশালী নজরদারি ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ একটি ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র কক্ষপথে থাকা একটি লাইভ স্যাটেলাইট ধ্বংস করলে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত তার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষমতা পরীক্ষা করে।

এদিকে বাস্তবে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নজরদারির জন্য ভারতের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *