আজ শেয়ার বাজারের ধসে মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। পকেটে লেগেছে সবার আগুন। আতঙ্কে অনেকেই শেয়ার বিক্রির হিড়িকে নেমেছে। এদিকে অনেকের পোর্টফোলিও মূল্য নেমেছে বেশ কয়েক শতাংশ। এই আবহে বিনিয়োগকারীদের কত টাকা লোকসান হল আজ? মনিকন্ট্রোল এবং এনডিটিভি প্রফিটের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আজ বিনিয়োগকারীরা ১৯ লাখ কোটি টাকা হারিয়ে থাকতে পারেন। এদিকে নিফটি ভিআইএক্স বা আতঙ্কের সূচক এক লাফে ৫১.৬৫ শতাংশ বেড়ে ২০.৮৬ হয়েছে আজ। আগের সপ্তাহে শুক্রবারও এই সূচক ছিল ১৪-র নীচে।
উল্লেখ্য, এশিয়ার বাকি স্টক মার্কেটের মতো আজ ভারতীয় শেয়ার বাজারেও দেখা যায় হাহাকার। আজ প্রি মার্কেটে একটা সময়ে ৩০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। এরপর বাজারে লেনদেন শুরু হতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল সূচক। সকাল ১১টা নাগাদ সেনসেক্স প্রায় ২৯০০ পয়েন্ট নীচে ছিল গত সেশনের তুলনায়। এদিকে নিফটি ৫০ আজ একটা সময় ১৩০০ পয়েন্টেরও বেশি নেমে গিয়েছিল। ১১টা নাগাদ নিফটি ২২ হাজারের গণ্ডির নীচে ছিল। এখন নিফটি গত সেশের তুলনায় প্রায় ৯০০ পয়েন্ট নীচে। আজ একটা সময়ে সেনসেক্স এবং নিফটি প্রায় ৫ শতাংশেরও বেশি নেমে গিয়েছিল। তবে এখন সেনসেক্স এবং নিফটি, উভয়ই প্রায় ৩.৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ নীচে।
এদিকে দালাল স্ট্রিটে ওপেনিং বেলের আগে আজ এশিয়ার অন্যান্য বড় বড় পুঁজিবাজারেও বিশাল ধরনের ধস দেখা গেছে। শঙ্কিত বিনিয়োগারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক দেখা গিয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর শুল্কের প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা প্রতিফলিত হয়েছে নিক্কেই থেকে কোসপি, হ্যাং সেঙে। আজ জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক কমেছে ৬.৪৮ শতাংশ। এরপর হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
আজ তাইওয়ানের তাইওয়ান ওয়েটেড ইনডেক্সেও বড় ধরনের পতন দেখা গিয়েছে। সেখানের শেয়ার বাজারের প্রারম্ভিক বাণিজ্যেই ৯.৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল তাইওয়ানের সূচক। এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার কেওএসপিআই সূচক আজ কমেছে ৪.১৪ শতাংশ এবং চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ৬.৫ শতাংশ। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বেঞ্চমার্ক সূচক এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০-ও ৩.৮২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে শেয়ার বাজারে বিক্রির হিড়িক কেবলমাত্র বড়বড় অর্থনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়েও এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে।