3 New criminal laws: সাধারণ মানুষের যে ১০টি পরিবর্তনের বিষয়ে জানা উচিত

Spread the love

১ জুলাই থেকে দেশে তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন কার্যকর হয়ে গেল। ঔপনিবেশিক যুগের পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের বদলে আজ থেকে দেশে কার্যকর হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় এর ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন আসতে চলেছে। এই নয়া বিধিগুলির সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন।

  • নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে তার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার অধিকার থাকবে ধৃত ব্যক্তির কাছে। যাতে ধৃত ব্যক্তি তাৎক্ষণিক সহায়তা পেতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরা যাতে সহজেই ধৃত ব্যক্তির গ্রেফতারির বিষয়ে তথ্য জানতে পারে, তার জন্য থানা এবং জেলা সদরে ধৃতদের তথ্য প্রদর্শিত থাকবে।
  • এখন গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা বাধ্যতমালূক হয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের জন্য। সেখানে গিয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিজেদেরই প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে।
  • ‘লিঙ্গ’-এর সংজ্ঞায় এখন তৃতীয় লিঙ্গকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে কিছু অপরাধের জন্য, সম্ভব হলে একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারা নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে নয়া বিধিতে। আর তা যদি সম্ভব না হয়, তবে একজন মহিলার উপস্থিতিতে একজন পুরুষ ম্যাজিস্ট্রেটকে সেই জবানবন্দি রেকর্ড করতে হবে। ধর্ষণ সংক্রান্ত বক্তব্য অডিয়ো-ভিডিয়োর মাধ্যমে রেকর্ড করতে হবে।
  • বিচার শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে ফৌজদারি মামলার রায় দিতে হবে। প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগের চার্জ গঠন করতে হবে। সাক্ষীদের সুরক্ষা এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সমস্ত রাজ্য সরকারকে অবশ্যই সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
  • ধর্ষণের শিকার নারীর জবানবন্দি নিতে হবে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকেই। নির্যাতিতার অভিভাবক বা আত্মীয়ের উপস্থিতিতে সেই বয়ান রেকর্ড করতে হবে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
  • নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়ে আইনের নতুন অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সন্তান কেনা বা বিক্রি করা জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এর কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে নয়া দণ্ডবিধিতে। নাবালিকাকে গণধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে নয়া আইনে।
  • বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভ্রান্ত করে নারীদের পরিত্যাগ করা হলে এখন আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
  • হেনস্থার শিকার মহিলারা ৯০ দিনের মধ্যে মামলার নিয়মিত আপডেট পাওয়ার অধিকারী। নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হলে সব হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে।
  • অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়েই ১৪ দিনের মধ্যে এজাহারের কপি, পুলিশ রিপোর্ট, চার্জশিট, জবানবন্দি, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও অন্যান্য নথি পাওয়ার অধিকারী। মামলার শুনানিতে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে আদালতকে সর্বাধিক দুটি স্থগিতাদেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
  • এদিকে এখন বৈদ্যুতিন যোগাযোগ মাধ্যমেই অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। এর জন্য কোনও থানায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। জিরো এফআইআর প্রবর্তনের ফলে ব্যক্তিরা এক্তিয়ার নির্বিশেষে যে কোনও থানায় এফআইআর দায়ের করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *