রাজধানী দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসরত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের ওপর পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই আবহে দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৫ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির সদর বাজার এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি এবং দিল্লির গ্রামীণ জেলা থেকে বাকি তিনজনকে ধরা হয়েছে। এই সমস্ত বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল এবং তারা ভুয়ো ভারতীয় পরিচপত্রও তৈরি করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৭ মার্চ তাদের কাছে গোপন খবর আসে। সেই গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৭৫ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি নাগরিককে ৭৮১৬/৮, নই বস্তি, ফিল্মিস্তান, সদর বাজার থেকে আটক করা হয়। আটক বাংলাদেশির নাম বিলাল। সে বাংলাদেশের খুলনা জেলার মারোলগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় ভোটার কার্ড উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তার ভোটার কার্ড বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এদিকে কীভাবে এই ভোটার কার্ড ইস্যু করা হয়, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে ১০ মার্চ বিলালের ২৬ বছর বয়সি ছেলেকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম মহম্মদ ফারুক। ফারুক তার বাবার সঙ্গে দিল্লির নয়া বস্তির পঞ্চম তলার ইলিয়াস বিল্ডিংয়ে থাকতেন।
দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পরেই বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে দিল্লি পুলিশকে বড় নির্দেশ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠাতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য পরিচয়পত্র তৈরি করার চক্রকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। অমিত শাহ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত।
এদিকে ত্রিপুরায় সীমান্তে গত ৪ দিনে ২৯ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ পাকড়াও করেছে বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে ৭ দালালকেও পাকড়াও করেছে বিএসএফ। এদিকে সম্প্রতি আবার ওড়িশা থেকেও ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনে এসটিএফ কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছিল, দালালের মাধ্যমে ধুবড়ি (অসম) দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল তারা।