সম্প্রতি চিনের থেকে ৪০টি জে৩৫এ পঞ্চম জেনারেশন যুদ্ধবিমান পাওয়ার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এদিকে চিন ইতিমধ্যেই হোতান এবং শিগাতসে-তে জে২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে। এই আবহে ভারত নিজেদের দেশে পঞ্চম জেনারেশন যুদ্ধবিমান তৈরির জন্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। এই আবহে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভারতে পঞ্চম যুগের অত্যাধুনিক মধ্যমবর্গীয় যুদ্ধবিমান (এএমসিএ) তৈরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং এই কমিটির মাথায় আছেন। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার উপপ্রধান ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল এসপি ধরকর, প্রতিরক্ষা উৎপাদন দফতরের সচিব সঞ্জীব কুমার, ডিআরডিও-র শীর্ষ কর্তারা, অ্যারোনটিকাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির কর্তারা আছেন এই কমিটিতে।
জানা গিয়েছে, ভারতেই ২৫ টনের পঞ্চম যুগের এএমসিএ-র জন্যে ১১০ কিলোনিউটন শক্তির ইঞ্জিন তৈরির ছক কষবে এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। এর জন্যে আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিক, ফ্রান্সের সাফরান বা ব্রিটেনের রোলস রয়েসের মধ্যে কোনও এক সংস্থাকে এই পরিকল্পনার জন্যে সঙ্গে নিতে পারে ভারত।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসেই মোদীর নেতৃত্বাধীন একটি ক্যাবিনেট বৈঠকেই পাঁচটি টুইন ইঞ্জিন এএমসিএ-র প্রোটোটাইপ তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর জন্যে ১৫ হাজার কোটি খরচ হওয়ার কথা প্রাথমিক ভাবে। যদিও বা এই যুদ্ধবিমানগুলির প্রোডাকশন শুরু হবে সেই ২০৩৫ সালে গিয়ে। তবে ভারতেই এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরির জন্যে প্রথম পদক্ষেপ করবে উল্লেখিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটিটি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৪২.৫ স্কোয়াড্রনের অনুমোদন থাকলেও বায়ুসেনার কাছে আছে মাত্র ৩০টি স্কোয়াড্রন। আগামী ১০ বছরে এর মধ্যে থেকেও ১০টি স্কোয়াড্রনকে অবসরে পাঠানো হবে। এই আবহে বায়ুসেনা এর মধ্যে অন্তত ৭টি এএমসিএ স্কোয়াড্রন (১২৬ বিমান) গঠনের পরিকল্পনা করছে। এই স্কোয়াড্রনের বিমানগুলি এআই প্রযুক্তি যুক্ত হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।