Sanjay Ray in RG Kar Murder Case। ‘ওর ফাঁসি চাই’ চিৎকার! সঞ্জয়কে ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত

Spread the love

সঞ্জয় রায়। আরজির কাণ্ডে ধৃত। সেই সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে রাখা হবে। এদিকে সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় সম্মতি দিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয়।

এদিকে সঞ্জয়কে এদিন আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্য়েই এদিন আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে বের করা হয়। এরপর তাকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য় বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে তাকে হাজির করানো হয় আদালতে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল আদালত চত্বরে। পুলিশের গাড়়ি আদালত চত্বরে নিয়ে আসার পরেই সাধারণ মানুষ চিৎকার করতে থাকেন, ফাঁসি চাই সঞ্জয়ের।

এদিকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্য়েও পথচারীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন, ফাঁসি চাই। মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে সূত্রের খবর, সঞ্জয় রায় পলিগ্রাফ পরীক্ষার মুখোমুখি হতে সম্মতি জানিয়েছেন।

আপাতত তাকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজই তার পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। জেলে গিয়ে বা জেল থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে পলিগ্রাফ টেস্ট হতে পারে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে জানাা গিয়েছিল সঞ্জয়ের হয়ে সওয়াল করার জন্য কোনও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করার জন্য আইনজীবী মিলেছে। ৫২ বছর বয়সি কবিতা সরকার তার হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন বলে খবর। এর আগে সঞ্জয়ের হয়ে লড়াই করার জন্যে কোনও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বর্ষীয়ান আইনজীবী সঞ্জয়ের হয়ে দাঁড়াচ্ছেন বলে খবর।

সঞ্জয়ের হয়ে আইনি লড়াই করলেও কবিতা সরকার আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আমিও বাকিদের মতো নির্যাতিতার বিচার চাই।’ এরপর তিনি জানিয়েছিলেন, ‘তবে আমার মনে হয় যখন বিচার হয়, তখন আদালতে আইনি লড়াই সম্পন্ন হয়। তার আগে না। এই দেশে সবারই আইনি অধিকার আছে। সবারই নিজের রক্ষা করার অধিকার আছে। অভিযুক্তরও সেটা আছে। আর এখানে আমাকে আমার কাজ করতে হবে।’

এদিকে সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে অনুসারে জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে যখন জেরা করা হচ্ছিল, তখন তার চোখেমুখে আবেগের লেশমাত্র ছিল না। একেবারে সাধারণভাবে অপরাধের বর্ণনা দিয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *