খাঁচাবন্দি হল ৩টির মধ্যে ১টি মানুষখেকো নেকড়ে

Spread the love

অবশেষে খাঁচা বন্দি হলো মানুষখেকো নেকড়ে। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলার মাহসি ব্লকের সিসিয়া পঞ্চায়েত এবং আশপাশের অঞ্চলগুলিতে গত ২ মাস ধরে মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে একটি নেকড়ের দল। গত ২ মাসে এই নেকড়ের দল অন্তত আটজনকে মেরে ফেলেছে । যার মধ্যে ৭ জন শিশু ও একজন হলেন মহিলা।এছাড়াও, নেকড়ের আক্রমণে ২২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও নেকড়ের হামলায় এক শিশু নিহত হয়। সেই নেকড়ে দলের মধ্যে একটিকে খাঁচা বন্দি করতে সক্ষম হয়েছে উত্তর প্রদেশের বন বিভাগ।

জানা গিয়েছে, নেকড়ে ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খাঁচা পাতা হয়েছিল। ড্রোন উড়িয়ে নেকড়ের দলের সন্ধান চালায় বন বিভাগ। বন কর্মীরা জানিয়েছেন, নেকড়েদের অবস্থান জানার পর পটকা ফাটিয়ে তাদের খাঁচার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষে একটিকে খাঁচা বন্দি করা সম্ভব হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নেকড়ে ধরার জন্য যোগী আদিত্যনাথের সরকার ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ চালু করেছে। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও নিজেই এই অভিযানটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।এদিকে, স্থানীয়দের সুরক্ষিত রাখতে নেকড়েদের লোকালয় থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে বন বিভাগ।

জেলা শাসক মনিকা রানি বলেছেন, যেসব বাড়িতে দরজা নেই সেগুলিতে দরজা লাগানো হচ্ছে। মানুষের সুরক্ষায় সমস্ত গ্রামে রাতের টহলদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আশা কর্মীদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়দের দাবি, ওই দলে মোট তিনটি নেকড়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই নেকড়ের সন্ধানে ২২টি দল গড়েছে উত্তরপ্রদেশ বন দফতর। বনকর্মীদের পাশাপাশি সেই দলে আছেন দক্ষ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞেরা। তাদের কাছে রয়েছে ড্রোন, নাইট ভিশনস ক্যামেরা সহ আধুনিক সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বনমন্ত্রী অরুণকুমার সাক্সেনাও বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খাঁচা বন্দি নেকড়েকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত চারটি নেকড়েকে ধরা হয়েছে। আরও দুটি এখনও বাইরে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *