Gujarat Flood। ‘বাঁচার জন্য কিছুই বেঁচে নেই’! বন্যায় ডুবল অডি সহ তিনটি গাড়ি

Spread the love

জলে ডুবে, পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকার অডি এ৬। দুঃখে কষ্টে জর্জরিত গাড়ির মালিক লিখলেন, ‘বাঁচার জন্য কিছুই বেঁচে নেই। অবিরাম বৃষ্টির জেরে জল যন্ত্রণায় ভুগছে গুজরাট। বন্যার কবলে পড়ে বিধ্বস্ত জনজীবন। ভাদোদরা সহ অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার কারণে জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ১৮,০০০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৯ জনের। মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

এমন পরিস্থিতিতে, বন্যার নোংরা জলে ডুবে থাকা নিজের ৫০ লক্ষ টাকার গাড়ির ছবি শেয়ার করে কষ্টের কথা বলেছেন এক ব্যক্তি। প্ল্যাটফর্ম রেডিট-এ ওই ব্যবহারকারী একটি মারুতি সুজুকি সিয়াজ, একটি ফোর্ড ইকোস্পোর্ট এবং একটি অডি এ৬-এর ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিতেই দেখা গিয়েছে যে জলে ডুবে রয়েছে তিন গাড়ি। অডি-র দাম তো আবার ৫০ লক্ষ টাকা৷ নিজের শখের এই এত দামি গাড়ির এই পরিণতি, কিছুতেই মন মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাই তো লিখেছেন, এখন আর বাঁচার কিছু নেই।

তবে, এই প্রথম তিনি এমন ভাগ্যের শিকার হননি। কমেন্ট বক্সে, তিনি জানিয়েছেন যে তার নতুন বাড়ি, বন্যা-প্রবণ এলাকাতেই অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে, এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁর যানবাহন বন্যার কবলে পড়েছে। তাঁর বাড়ির বাইরে এখন ৭-৮ ফুট উঁচু জল রয়েছে। বলা বাহুল্য, এই রেডিট পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

রিপোর্ট অনুসারে, গুজরাটের ৩৩ টি জেলা বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার দ্বারা খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তথ্য অনুসারে, আইএমডি কচ্ছ, দ্বারকা, জামনগর, মোরবি, সুরেন্দ্রনগর, জুনাগড়, রাজকোট, বোটাদ, গিরসোমনাথ, আমরেলি এবং ভাবনগরের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। উত্তর গুজরাট, দক্ষিণ গুজরাট এবং মধ্য গুজরাটে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন যে এই ধরনের জলাবদ্ধতার জন্য পৌর কর্পোরেশন দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আরও একজন লিখেছেন, গাড়ি ডুবে গিয়েছে, সমস্যা নেই, শুনেছি বন্যার জলে কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছে। সতর্ক থাকুন। অন্য ব্যবহারকারী লিখেছেন, আপনার যদি এই গাড়িগুলোর বীমা না করা থাকে, তবে বিশাল ক্ষতি হতে পারে। জলাবদ্ধতার কারণে ইঞ্জিন চালু না হলে, খুব বিপদ। আবার কারও দাবি, দেশের কর এখন হিমালয়ের মতো উঁচু এবং সুযোগ-সুবিধা নামমাত্র। এই ভারতবাসীর দুর্ভাগ্য! একজন অবশ্য ওই ব্যক্তির সঙ্গে সমব্যথী। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালে, আমার গাড়ি বন্যার জলে আটকে গিয়েছিল, এবং বন্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দুই মাস ধরে, এই বড় ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে, এখন আমি আমার গাড়িকে ফিরে পেয়েছি। তাই মনে রাখবেন, যতক্ষণ আপনি বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন, কিছুই সত্যিই হারিয়ে যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *