আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের দেহে কমপক্ষে ২৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই জানানো হল আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে। সিবিআই কর্তাদের উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গণপিটুনির সময় মারধর করার ফলে শরীরে যেমন অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়, সেরকমই প্রচুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে নির্যাতিতার দেহে।
সিবিআইয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত এবং সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট) রিপোর্টে একাধিক ফাঁকফোকর আছে। এরকম ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, এখন তথ্য সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়নি। তারপরও যা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, সেগুলির ফরেন্সিক টেস্ট করা হয়েছে। খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেইসব তথ্যপ্রমাণ। আর তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে যে গণপিটুনির মতোই বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে।
আর সেটার ভিত্তিতেই সিবিআই অনুমান করছে যে একজন নয়, অপরাধের ঘটনায় একাধিক লোক যুক্ত ছিল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ফরেন্সিক টেস্টে নির্যাতিতার শরীরে যেরকম আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, তাতে একজনের পক্ষে সেই কাজটা করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারীদের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত এবং সুরতহালের যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, তাতে কয়েকটি গুরুতর আঘাতের প্রসঙ্গ পুরোপুরি চেপে যাওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সিবিআই আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন যে তদন্তের নজর ঘোরানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আদতে তরুণী চিকিৎসককে খুন করার লক্ষ্য ছিল। যাতে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ধোঁয়াশা তৈরি করা যায়, সেজন্য ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আনা হতে পারে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
তারইমধ্যে বুধবার নির্যাতিতার বাবা এবং মায়ের নথিভুক্ত করতে তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, এমন কয়েকটি বিষয় নিয়েও তাঁদের থেকে জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। করা হয় কয়েকটি প্রশ্ন।