Junior Doctor Hunger Strike। ছেলেকে বলুন অনশন তুলে নিতে! শরীর খারাপ হয়ে যাবে

Spread the love

মহাষ্টমী। মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে কোথায় যেন তাল কেটে গিয়েছে এবার। পুজোয় ঘুরছেন, ফিরছেন সাধারণ মানুষ। তবুও আলোচনায় উঠে আসছে বার বার সেই অনশন মঞ্চের কথা। আরজি করে চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে ও দশ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে একাধিক জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসেছেন। প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরে আসতে চাননি তাঁরা। উত্তরবঙ্গেও অনশন চলছে।

উত্তরবঙ্গে অনশনরত এক জুনিয়র চিকিৎসকের দাবি, বাড়িতে ফোন করে বলা হচ্ছে ছেলেকে বলুন অনশন তুলে নিতে। ওর শরীর খুব খারাপ। এটা ঠিক নয়। মাকে ফোন করে বলছে ওর শরীর খুব খারাপ। আপনারা ফোন করুন। শরীর খারাপ হলে কী করবেন! এসব বলা হচ্ছে।

কলকাতায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, আসলে অনশনকে ভয় পাচ্ছে ওরা। বাড়িতে ফোন করে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমাদের একাধিক জুনিয়র চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে অনশন তুলে নিয়ে চাপ দিচ্ছে।

এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, অসভ্যতার একটা সীমা থাকা দরকার। কোন সমাজে বাস করছি। আমরা বলছি সবাই বেরিয়ে আসুন। আমরা সিনিয়ররা আরও এগিয়ে আসব। বলা হচ্ছে অনশন তুলে নিন। মিথ্যে মামলাতে ফাঁসিয়ে দেব। মাটিগাড়া থানা থেকে ফোন যাচ্ছে। বলছে অনশন তুলে নিতে বলুন। নাগরিক সমাজকে বলছি আপনারা এগিয়ে আসুন। আপনারা এর প্রতিবাদ করুন। তবে জুনিয়রদের মনের জোর প্রবল। আমরা সিনিয়ররাও এর প্রতিবাদ করছি। আমরা গর্জে উঠব।

তবে মাটিগাড়া থানার পুলিশ এই অনশন তুলে নিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি।

এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, অনশন তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য নানা ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। কোথাও অনুরোধ করা হচ্ছে। কোথাও আবার বাড়িতে ফোন করে বলা হচ্ছে যাতে অনশন তুলে নেওয়া হয়। এটা ঠিক হচ্ছে না। তবে সিনিয়রদের দাবি এভাবে চাপ দেওয়া শুরু হলে কার্যত অনশন তুলে নেওয়া তো দূরের কথা আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

এদিকে সূত্রের খবর, অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের মূত্রের মধ্য়ে কিটোনের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। শারীরিক দুর্বলতা বাড়ছে। কিন্তু তাদের মনোবল সময়ের সঙ্গে আরও বাড়ছে। এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের একটা টিম ইতিমধ্যেই এসেছিল অনশন মঞ্চে। অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তারা খোঁজ নিচ্ছেন। তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, মনোবল অটুট। শেষ দেখে ছাড়বেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বাড়িতে ফোন করে চাপ দিয়ে কিছু হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *