Rape and Murder in Habra। থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় খুন নির্যাতিতা! ধৃত কলকাতা পুলিশের কর্মী

Spread the love

ধর্ষণের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা। এরপরই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। অভিযোগ ওঠে, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হল কলকাতা পুলিশেরই এক কর্মী এবং তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতার স্বামীকেও। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। নির্যাতিতা মহিলা সেই পুলিশর্মীর বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচারের জেরেই নাকি সেখানে থাকতেন সেই মহিলা। তবে ধর্ষণের পরে শ্বশুরবাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন নির্যাতিত। তাঁর মৃতদেহ শ্বশুরবাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযোগ, ধৃত পুলিশকর্মীই নাকি সেই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করেছিল প্রায় দেড়মাস আগে। ৫ সেপ্টেম্বর সেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। পরে সেই ধর্ষণের বিষয়টি সালিশিতে মিটমাট করে নেওয়ার জন্যে চাপ দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার ওপরে। তবে সেই চাপর সত্ত্বেও ১২ সেপ্টেম্বর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। আর এরপর থেকেই নাকি বিভিন্ন সময়ে নানান ভাবে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই আবহে গত ১০ অক্টোবর উদ্ধার হয় সেই মহিলার দেহ।

নির্যাতিতার ভাই অভিযোগ করেন, তাঁর বোনকে খুন করেছে ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই পুলিশর্মী। এবং এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাহায্য করেছে তার স্ত্রী। উল্লেখ্য, অভিযুক্তের স্ত্রী নিজে স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী এবং পঞ্চায়েত সদস্য। এই আবহে ওই পুলিশ কর্মী, তার স্ত্রী ও নির্যাতিতার স্বামীকে শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এর আগে পুলিশের কাছে নির্যাতিতা অভিযোগ করেছিলেন, ৫ সেপ্টেম্বর রাত ২টো নাগাদ অভিযুক্ত পুলিশকর্মী তাঁর ঘরে ঢোকে। মহিলা মেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। মহিলার মুখ চেপে ধরে তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে গত ১০ অক্টোবর ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। দেহ ময়না তদন্তের জন্য বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে নির্যাতিতার ভাইয়ের অভিযোগ, দিদির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেরা প্রথম থেকেই অত্যাচার করত। এই আবহে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী দিদির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দিদিকে খুন করেছে বলে অভিযোগ ভাইয়ের। যদিও ধৃত তৃণমূল নেত্রী দাবি করে, তার স্বামী ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত নয়। অন্য এক যুবক মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল। খনের ঘটনার সঙ্গেও তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *