Space Docking by ISRO। মহাকাশেই ভিন্ন হবে উপগ্রহের যন্ত্রাংশ! জোড়াও লাগবে মহাশূন্যে

Spread the love

ভবিষ্যতে ভারত যাতে মহাকাশেই যেকোনও উপগ্রহ ‘নোঙর’ করাতে পারে, বা কোনও উপগ্রহের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মহাশূন্যেই পৃথক করতে পারে, কিংবা সেগুলিকে পুনরায় জুড়তে পারে, সেই ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমাদের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

পোশাকি ভাষায় ইসরোর এই প্রচেষ্টাকে বলা হচ্ছে, ‘স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট’ বা স্পেডেক্স। ইসরো কর্তৃপক্ষের আশা, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের আগেই এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন তাদের বিজ্ঞানীরা।

এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘ডকিং হল চন্দ্রযান-৪ অভিযানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং স্পেডেক্স হল এমন একটি অগ্রণী ভাবনা, যা আমরা পরিকল্পনা করেছি।’

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আপাতত স্পেডেক্স উপগ্রহগুলি নির্মাণের কাজ চলছে। শীঘ্রই সেই কাজ শেষ হবে। আর তারপরই এই উপগ্রহ নিয়ে পূর্ণ মাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা হবে। ইসরো প্রধান আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

আগামী দিনে মহাকাশে যে কোনও কৃত্রিম উপগ্রহকে স্থিরভাবে এক জায়গায় দাঁড় করানোর বিষয়ে পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে বদ্ধপরিকর ইসরো কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্য পূরণে ইসরোর প্রথম ধাপ হল স্পেডেক্স।

তথ্য বলছে, এই ডকিং প্রক্রিয়া কেবলমাত্র চন্দ্রযান-৪-এর স্যাম্পল রিটার্ন মিশনের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বস্তুত, আগামী দিনে যতবার এমন কোনও মহাকাশ অভিযান করা হবে, যেসব ক্ষেত্রে মহাকাশের নির্দিষ্ট স্থানে ঘাঁটি গেড়ে গবেষণার কাজ চালাতে হবে, সেই সমস্ত অভিযানের জন্য ডকিং প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এরই সঙ্গে, ইসরো প্রধান সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৪-এর যে নকশা তৈরি করা হয়েছে, তার প্রাথমিক নকশার পর্যালোচনা রিপোর্ট বা পিডিআর এখনও তৈরি হয়নি।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, স্পেডেক্স অভিযানে উপগ্রহগুলি দু’টি ভিন্ন উপাদান দিয়ে মহাকাশে রওনা দেবে। তারপর মহাকাশের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে সেগুলি একত্রে যুক্ত হয়ে যাবে এবং একটি একক ও সম্পূর্ণভাবে কার্যকর ইউনিট হিসাবে কাজ শুরু করবে।

এই ব্যবস্থাপনা রপ্ত করে ফেলতে পারলেই মহাকাশ যানগুলি সহজেই পরস্পরের অবস্থান চিহ্নিত করতে পারবে এবং একই কক্ষে স্থিরভাবে ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারবে।

ভবিষ্যতে ভারত মহাকাশে নিজের স্পেস স্টেশন তৈরি করতে চায়। স্পেডেক্স সফল হলে সেই উদ্দেশ্য পূরণের পথে আরও কিছুটা এগিয়ে যাবে ইসরো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *