Sudipa Chatterjee। ‘মাথার ওপর ছাতা গুলো সরে গেলে যেরকম হয়…’ 

Spread the love

পুজো শেষ, সিঁদুরে রাঙা রাশি রাশি মুখ মিষ্টি মুখে বিদায় জানিয়েছেন মা দুর্গাকে। বাপের বাড়িতে ৪টে দিন কাটিয়ে তিনি আবার ফিরে গিয়েছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ি কৈলাসে। সকলেরই মনভার। কিন্তু তার মধ্যেই শুরু হয়েছে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন। আর বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আবহেই বাড়ির পুজোর ভিডিয়ো অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সুদীপা। সেই ভিডিয়ো আনন্দ-দুঃখ সবটা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে।

ভিডিয়োর শুরুটা দারুণ মন ভালো করা। একেবারে পুজোর শুরু দিন গুলো ধরা রয়েছে পরপর কটা ফ্রেমে। সেখানে ঠাকুর আনা থেকে আলোয় সাজানো বাড়ি, গয়না দিয়ে প্রতিমাকে সাজানো, ভোগ রান্না সহ নানা ছবি ধরা পড়েছে।

আর এই ছবিগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়েই মনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন সুদীপা। ভিডিয়োর শুরতেই তিনি বলেছেন, ‘বাড়িতে মা আসার আগে চলে আসেন ঢাকি ভাইরা। আলো দিয়ে পুরো বাড়ি সাজানো হয়। আর তারপর আসেন তিনি। অনেক যত্ন করে তাঁকে ওপরে তোলা হয়। আমরাও সেজে উঠি। আর তাঁকেও সাজিয়ে তুলি। তাঁর সমস্ত গয়নার লকার থেকে বের করে আনা হয়। তারপর তা দিয়ে সুন্দর করে মাকে সাজানো হয়।’

তবে কেবল দেবী দুর্গা নন, বাহন সিংহ থেকে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী সকলকে নানা গয়নায় সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন সঞ্চালিকা। সুদীপার কথায়, ‘শুধু যে তিনি সাজবেন এমনটা তো নয়। মায়ের সঙ্গে বাপের বাড়ি আসেন সিংহমশাইও। সেও গয়নায় সেজে ওঠে মায়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। তাছাড়াও তাঁর ছেলে মেয়েরাও একইভাবে সুন্দর করে গয়নায় সেজে ওঠেন। আর আমরা জয় মা, জয় মা, জয় মা, বলতে থাকি।’

মাকে হারিয়েছেন সুদীপা খুব বেশি দিন হয়নি। আর উৎসব অনুষ্ঠান মানেই তো কাছের মানুষ। তাঁদের ছাড়া সব আনন্দই ফিকে হয়ে যায়। তাই মায়ের কথাও পুজোতেও মনে পড়ে সুদীপার। কিন্তু সুদীপার কথায়, ‘জগৎজননী মা’ তাঁকে আগলে রেখে, তাঁর সব দুঃখ মুছে দিয়েছেন।

মায়ের কথা বলতে গিয়ে সুদীপা বলেন, ‘এবছর পুজোয় মাকে খুব মিস করছিলাম। মাথার ওপর ছাতা গুলো সরে গেলে যেরকমটা হয়। কিন্তু আমাদেরকে আগলে রেখেছেন জগজ্জননী মা। তাঁর জন্য ভোগ রান্না দিয়েই রমরম করে শুরু হয়ে গেল আমাদের পুজো। এল সপ্তমী, অষ্টমী, সন্ধি পুজো, নবমী আর তারপর এলো মন খারাপের সময়। মাকে অনেক আদর যত্ন করে বললাম আবার এসো মা। আসছে বছর আবার হবে।’

এরপর ভিডিয়োয় খানিক বিষাদের সুর, কারণ দুর্গা চললেন শ্বশুরবাড়ি। তবে বিদায় বেলাতেও মাকে যত্নে ভরে দেন সুদীপা। তাঁর কথায়, ‘আয়না মুখ দেখে তবেই তিনি বাড়ি যান। তাঁকে অনেক আদর করে বলতে হয় আসছে বছর তোমাকে আবার অনেক ধুমধাম করে নিয়ে আসব।’ ভিডিয়োর শেষে অনুরাগীদের তাঁর ও তাঁর পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে ‘শুভ বিজয়া’ জানাতেও ভোলেননি সুদীপা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *