Fardeen Khan Divorce।  ‘বাচ্চাদের মিস করি…’! মুমতাজ-কন্যার সঙ্গে ১৯ বছরের বিয়েতে ভাঙন

Spread the love

দীর্ঘ ১৪ বছর রুপোলি দুনিয়া থেকে গায়েব ছিলেন ফারদিন খান। ফিরোজ খান(Firoz Khan) পুত্র যমজ দুই সন্তানের মৃত্যুর পর ডিপ্রেশনে চলে যান। এরপর দীর্ঘ লড়াই। হালে সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামান্ডি’র হাত ধরে কামব্যাক করেছেন। এরপর অক্ষয়ের সঙ্গে খেল খেল মে ছবিতেও দেখা মিলেছে। 

কেরিয়ারের নতুন অধ্যায়েও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর। মাস কয়েক ধরেই স্ত্রী নাতাশার সঙ্গে ফারদিনের বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারদিন জানান, সন্তানদের থেকে দূরে থাকাটা মোটেই সহজ নয়। 

সন্তানদের থেকে দূরে থাকা প্রসঙ্গে ফারদিন

নাতাশার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর নিয়ে অভিনেতা খুব বেশি কিছু না জানালেও সন্তানদের নিয়ে বলেন, ‘এটা সহজ নয়। তারা কেন দূরে আছে সে বিষয়ে আমি যেতে চাই না, তবে হ্যাঁ, এটি সহজ নয়। ওদের ভীষণ মিস করি। আমি প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে তাঁদের দেখি এবং আমরা প্রতিদিন ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে কথা বলি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি অবশ্যই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হতে দেখা, তাদের বেড়ে উঠতে দেখা, তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া এবং তাদের নিজস্ব পরিচয় খুঁজে পেতে সহায়তা করাটা মিস করি। আমার বাচ্চারা ছবি আঁকে এবং আমি মুম্বাইয়ে আমার বাড়ির দেয়ালে তাদের শিল্পকর্ম গুলো বাঁধিয়ে রেখেছি। আমি তাদের আলিঙ্গন, তাদের চুম্বনটা মিস করি। আমি আমার মনকে বিক্ষিপ্ত রাখার জন্য কাজ করে চলেছি। আর যখনই ওরা মুম্বই আসে, আমি আমার পুরো শিডিউল ক্লিয়ার করি এবং ২৪ ঘণ্টা ওদের সঙ্গে সময় কাটাই’। ফারদিন প্রয়াত অভিনেতা-চলচ্চিত্র নির্মাতা ফিরোজ খান এবং সুন্দরী খানের ছেলে। ২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর নাতাশার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। নাতাশা ভারতীয় বংশোদ্ভূত উগান্ডার ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি ময়ূর মাধবানি ও অভিনেত্রী মুমতাজের মেয়ে। 
ফারদিন ও নাতাশার এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের নাম- ডায়ানি ইসাবেলা খান, এবং ছেলে আজারিয়াস ফারদিন খান। জানা যায়, বছর তিনেক ধরেই আলাদা থাকেন ফারদিন ও নাতাশা। দুই সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে থাকেন ফারদিনের বিচ্ছিন্না স্ত্রী। 

ফারদিন খানের অভিনয় কেরিয়ার

১৯৯৮ সালে প্রেম আগন ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন ফারদিন। পরে জঙ্গল (২০০০), প্যায়ার তুনে কেয়া কিয়া (২০০১), খুশি (২০০৩), ভূত (২০০৩), জানাশিন (২০০৩), দেব (২০০৪), ফিদা (২০০৪), নো এন্ট্রি (২০০৫), এক খিলাড়ি এক হাসিনা (২০০৫) এবং হে বেবি (২০০৭) এর মতো হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। 

রোমান্টিক-কমেডি ‘দুলহা মিল গয়া’ (২০১০)-এর পর অভিনয় থেকে বিরতি নেন এই অভিনেতা। এরপর সঞ্জয় লীলা বানসালির হীরামন্ডি (২০২৪) দিয়ে অভিনয়ের দুনিয়ায় ফিরে আসেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *