‘‌রেপ–পলিটিক্সকে আমরা ধিক্কার জানাই’‌

Spread the love

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমে পড়েন। সেই আন্দোলনকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সমর্থন করেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের আড়ালে এখন রাজনীতি করছে সিপিএম–বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। আর সেটাকে সমর্থন করা যায় না। বিজয়া সম্মিলনী থেকে আরজি কর হাসপাতালের ইস্যু নিয়ে বাম–বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা(Shashi Panja)। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এখন সিবিআই গ্রেফতার করে জেরা করেছে তৎকালিন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। তদন্ত এগিয়ে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারও কাজ করে চলেছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে বাম–বিজেপি নেতৃত্ব নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন শশী পাঁজা। গতকাল বেহালায় দু’টি বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন তিনি। সেখানেই বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করে শশী পাঁজা বলেন, ‘‌জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন তাঁদের আন্দোলন। এই আন্দোলন থেকে বিজেপি–সিপিএম সরে দাঁড়াক। এরা আন্দোলনের মুখ ঘুরিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে। এই রেপ–পলিটিক্সকে আমরা ধিক্কার জানাই।’

‌নাইট শিফটে কাজ করার পর তরুণী চিকিৎসক বিশ্রাম করতে যান। তখনই তাঁর উপর আক্রমণ নেমে আসে। এমনকী তাঁকে খুন পর্যন্ত করা হয়। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। যে একাই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। আর সেটা নিয়ে সিপিএম যে রাজনীতি করছে তার তুলোধনা করেন মন্ত্রী। সিপিএমকে নিশানা শশী পাঁজার বক্তব্য, ‘যারা এখন ঝান্ডা তুলছে, তারা শূন্যে দাঁড়িয়ে একলাফে সরকার গঠন করবে ভাবছে। তারা শূন্যেই দাঁড়িয়ে থাকবে। শূন্য হয়েও তিড়িংবিড়িং করে লাফাচ্ছে।’‌

সরকারি হাসপাতালে একজন তরুণী চিকিৎসকের এমন হাল হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যার জন্য নানা দাবি তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার বেশিরভাগ মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরও দেখা গিয়েছে আমরণ অনশন থেকে শুরু করে দ্রোহের কার্নিভাল। তবে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর কথায়, ‘যাঁরা কলকাতা পুলিশের উপরে আস্থা নেই বলেছিলেন, তাঁরাই এখন সিবিআইয়ের উপরও আস্থা নেই বলছেন। আমরা কিন্তু জাস্টিসের অপেক্ষায় আছি। আমরা একবারও বলছি না, আমরা জাস্টিস চাই না।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *