হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের দেহ মিলেছে। দক্ষিণ গাজাতে ইজরায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছিল তার। এদিকে সেই হামলার আগে তাকে ও তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে একটি সুরঙ্গের মধ্যে তাদের হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে এসেছিল। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল হামাস নেতা বালিশ, বিছানা, মাদুর, টেলিভিশন, ব্যাগ নিয়ে টানেল ধরে হাঁটছে। এসবের মধ্য়েই দেখা যায় হামাস নেতার স্ত্রীর হাতে একটি ব্যাগ রয়েছে। সেই ব্যাগটি আসলে হারমিস ব্যাগ। ইজরায়েলের দাবি সেই হারমিসের দাম প্রায় ৩২,০০০ মার্কিন ডলার।
ইজরায়েল জানিয়েছে, ইয়াহিয়া সিনোয়ারের স্ত্রীকে ৭ অক্টোবরের আগের হামলার আগে ওই টানেলে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। তিনি সঙ্গে করে একটা ব্যাগ নিয়েছিলেন। সেই ব্যাগের দাম ৩২,০০০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে তার দাম ২৬.৮৮ লাখ টাকা।
এদিকে একদিকে গাজার সাধারণ মানুষ মারাত্মক কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আর অন্যদিকে সিনোয়ার ও তার পরিবার একেবারে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন। ইজরায়েল একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একেবারে বিলাসবহুল ব্যাগ নিয়ে হাঁটছেন হামাস প্রধানের স্ত্রী।
ইজরায়েলের আর্মি মুখপাত্র রিয়ার অ্য়াডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সেই মাটির নীচে হামাস প্রধানের থাকার জায়গার যে বর্ণনা দিয়েছে তা অবাক করা। সেখানে টয়লেট, সাওয়ার, কিচেন সব রয়েছে। সেখানে খাবার দাবার, নগদ অর্থ, নানা ধরনের ডকুমেন্ট সব ছিল। এদিকে শেষ ফুটেজে দেখা যায় মারাত্মক আহত সিনোয়ার। সে ড্রোনের দিকে কিছু ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করছে। শেষ পর্যন্ত সিনোয়ারের যে দেহ মিলেছে তাতে দেখা গিয়েছে তার মাথায় গুলির আঘাত। তার আঙুল কেটে ফেলেছিল ইজরায়েলের বাহিনী।
এদিকে প্রায় এক বছর ধরে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্য়ে সংঘাত চলছে। মাঝেমধ্যেই সিনোয়ারের একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছিল ইজরায়েলের ফোর্স। তবে তাকে ধরা যায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ইজরায়েল তার লুকিয়ে থাকার জায়গার সন্ধান পায়। এদিকে এই ইয়াহিয়া সিনোয়ার ছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের যে হামলা তার মূল চক্রী। সেই হামলায় অন্তত ১২০০ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপরই গত এক বছর ধরে গাজায় চলছে লড়াই। এই লড়াইতে অন্তত ৪০,০০০ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। কবে এই লড়াই থামবে তা নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি এখনও।