Shruti-Kinjal।  প্রতিবাদের মুখ কিঞ্জলদের ভাইফোঁটা দেওয়ার কাতর আর্জি শ্রুতির

Spread the love

মঞ্চ, বড়পর্দা থেকে ওয়েবসিরিজের জনপ্রিয় মুখ কিঞ্জল নন্দ(Kinjal Nanda)। কিন্তু হালে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। কারণ অভিনয় তাঁর নেশা হলেও পেশায় তিনি চিকিৎসক। এগরার এরেন্দা গ্রামের ছেলে, বর্তমানে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রো বায়োলজিতে এমডি করছেন তিনি। 

৬ মাসের শিশুকন্যা, নাওয়া-খাওয়া ভুলে আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন কিঞ্জল। রবিবার ছিল তাঁর জন্মদিন, সেইদিনও কোনওরকম উদযাপনে মাতেননি। শুধু কিঞ্জল নন, অনিকেত-দেবাশিসরা এখন বাংলার ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছেন। প্রথম দিন থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে উপচে পড়েছে জনসমর্থন। পিছিয়ে নেই টলিপাড়াও। বিদিপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, দেবলীনা দত্তের মতো টলিউড শিল্পীরা জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে সমর্থনকে জানিয়ে একদিনের প্রতীকি অনশন করেছেন। এবার অভিনেত্রী শ্রুতি দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় আবদার রাখলেন জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে। 

আরজি করের ঘটনায় শুরু থেকেই সরব শ্রুতি। পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন। আরজি কর ইস্যুতে গানও বেঁধেছেন ছোটপর্দার ‘রাঙা বউ’। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন শ্রুতির। সামনেই ভাইফোঁটা। ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় এইদিনটায় ব্রতী হন দিদি-বোনেরা। সব বোন বা দিদিরা নিজের ভাই/দাদাদের সু-স্বাস্থ্য, অমরত্ব, দীর্ঘায়ু কামনা করে এই দিনটিতে। এই বছর ভাই,দাদারা পাশে নেই শ্রুতির। তাই কিঞ্জল, দেবাশিসদের কপালেই ভাইফোঁটা দিতে চান তিনি। 

ফেসবুকে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এবছর আমার ভাই,দাদারা কেউ ভাইফোঁটাতে আমার কাছে থাকতে পারছে না। কিঞ্জল নন্দ এবং তার সহযোদ্ধা কয়েক জন ডাক্তার দাদা-ভাইদের ফোঁটা দিতে চাই। আমার সাথে কারোর আলাপ নেই। বার্তাটা একটু পৌঁছে দেবেন,আমি সেদিন পৌঁছে যাবো। ইচ্ছা আছে,বাকিটা ভাগ্য।’

ওদিকে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার (পূর্ণ এবং আংশিক) কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল বেহাল, এমন অভিযোগ রাজ্যের। ওদিকে অনশনরত চিকিৎসকদের শারীরিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। ফলে চাপ বাড়ছে রাজ্যের পর। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ফের জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ প্রতিনিধিকে বৈঠকের জন্য নবান্নে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক আদৌ হয় কিনা, আর হলেও তার ফল কী হবে? সেই দিকেই এখন চোখ সকলের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *