কৃষ্ণনগর কাণ্ডে ছাত্রীর স্টেটাস দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তাই সেই ছাত্রীর প্রেমিককে ফোন করেছিলেন বান্ধবী। সেই কথোপকথন চলেছিল ৪০ মিনিট ধরে। পরে নাকি শেষবার রাত ১২টা ২ মিনিট নাগাদ ছাত্রীকে ফোন করেছিলেন প্রেমিক। তবে তখন আর ফোন ধরেননি তরুণী। এরপর ১৬ অক্টোবর সকালে পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ দেহ।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের ঘটনায় পুলিশ গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তবে তদন্ত এগোতেই প্রশ্ন উঠেছে, সেই তরুণীকে কি আদৌ খুন করা হয়েছিল নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন? হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের পোস্ট এবং মাকে পাঠানোর তরুণীর বার্তার জেরেই সেই ধন্দ তৈরি হয়েছে। সেই সব পোস্টে লেখা হয়েছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়’। যদিও মৃতার মায়ের অভিযোগ, জোর করে মেয়েকে দিয়ে তা লেখানো হয়েছিল।
এদিকে জেরার মুখে ধৃত প্রেমিক জনায়, ১৫ অক্টোবর তার অন্য এক বান্ধবীর সঙ্গে সে রানাঘাটে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। তা নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ ফোনে কথ কাটাকাটি হয়েছিল সেই ছাত্রীর সঙ্গে। পরে কান্নাকাটি করেছিল সেই ছাত্রী। পরে সেই ছাত্রীর পোস্ট করা ‘আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়’ স্টেটাস দেখে যুবককে ফোন করেছিলেন সিনেমা দেখতে যাওয়া সেই বান্ধবী।
জানা যাচ্ছে, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নাকি সেই বান্ধবী ফোন করেছিল যুবককে। তাদের মধ্যে ৪০ মিনিট ধরে কথা হয়েছিল। এদিকে ধৃত যুবক রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলের খুব কাছে এক মাঠে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন। যদিও তিনি রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে এসেছিল। ততক্ষণে অবশ্য সেই তরুণী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন বলে জানা গিয়েছে সদ্য প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে। এর মধ্যে এবার জানা গেল, রাত ১২টা ২ মিনিটে প্রেমিকাকে ফোন করেছিল সেই যুবক। তবে তখন আর ফোন তোলেনি সেই ছাত্রী।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরে তরুণীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সস্প্রতি সামনে এসেছে সেই রাতের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। ফুটেজে দেখা যায়, রাত দশটা চল্লিশ নাগাদ কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক ভবনের দিক থেকে একাই হেঁটে ঘটনার স্থলের দিকে যাচ্ছে ওই ছাত্রী। এদিকে সেই ভিডিয়োতে একটি বাইককেও সেই পথে যেতে দেখা গিয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবরের রাতের সেই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, সেই তরুণী একা হেঁটে যাচ্ছেন। তাঁর পাশ দিয়েই একটি বাইক বেরিয়ে যায়। তাতে ছিল এক যুবক এবং এক তরুণী। পরে সেই বাইকটি ফিরে আসে। মৃত ছাত্রী যেই পথে গিয়েছিলেন, সেই পথেই যায় বাইকটি। কিছু পরে সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, সেই বাইকটি ফিরে আসছে, তবে তরুণী আর ফেরেননি।