ফুকেটেই ৮০ ঘণ্টা আটকে দিল্লিগামী বিমান! হয়রানির একশেষ

Spread the love

বড় বিপত্তি। থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান প্রায় ৮০ ঘণ্টা ধরে আটকে ছিল ফুকেট বিমানবন্দরেই। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই বিমান রওনা হতে পারেনি। বার বার এটি বাতিল করা হয়। একশোর বেশি যাত্রী নিয়ে এই বিমানের উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানযাত্রীদের একাংশের দাবি, নানা কথা বলে বার বার এই বিমান বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ দফায় দফায় বাতিল করা হয়েছে এই বিমান। কখনও বলা হয়েছে, ঘণ্টা ছয়েক দেরিতে ছাড়বে এই বিমান। কখনও আবার বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটির কারণে এই বিমান দেরিতে ছাড়বে। কিন্তু ৬ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এই বিমান ছাড়েনি।

এদিকে সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময় পরে যাত্রীরা বিমানে উঠেছিলেন। কিন্তু তাদের ফের নামিয়ে দেওয়া হয়। এনিয়ে যাত্রীদের চরম হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। একে তো দীর্ঘ অপেক্ষা। তার উপর বার বার এই ওঠা আর নামা।

এদিকে যাত্রীদের দাবি, বিমানটি একবার উড়ে গিয়েছিল। আড়াই ঘণ্টা ওড়ার পর ফের সেটা ফিরে আসে ফুকেটে। বলা হয় যান্ত্রিক ত্রুটি। এদিকে ফের ফুকেটে ফিরে আসে বিমানটি। এর জেরে যাত্রীদের হয়রানির একশেষ হয়। অন্যদিকে অনেকেরই দিল্লিতে নির্দিষ্ট কর্মসূচি ছিল। তাদের সবার কর্মসূচি ভেস্তে যায়।

তবে সূত্রের খবর, যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে বিকল্প ব্যবস্থা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।

একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিমানটি আসলে ১৬ নভেম্বর রাতে ফুকেট ছেড়ে দিল্লির দিকে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার মতে সেটা প্রথমদিকে ৬ ঘণ্টা দেরি হয়েছিল প্রযুক্তিগত কারণে। পরে শুরু হয় দফায় দফায় বাতিল পর্ব।

তবে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গ্রাউন্ডে থাকা আমাদের স্টাফরা যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে সবরকম ব্যবস্থা করেছেন। তাঁদের হোটেলের ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কয়েকজন বিকল্প ফ্লাইট চেয়েছিলেন। তাছাড়া পুরোপুরি রিফান্ডের ব্যবস্থাও ছিল। যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পায়।

এদিকে যাত্রীদের অনেকেই এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীদের অনেকেই। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। তাদের দাবি এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যে সমস্ত কথা বলা হচ্ছিল তা যথাযথ নয়। যাত্রীদের অনেকেই বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কী কারণে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *