১৯৮১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মাথা পিছু আয় কর্ণাটকের থেকে ১৬ শতাংশ বেশি ছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে কর্ণাটকের মাথা পিছু আয় বাংলার তুলনায় ১১১ শতাংশ ওপরে চলে গিয়েছে। এখন কর্ণাটকে দেশের অন্যতম ধনী রাজ্য। আর পশ্চিমবঙ্গ এখন সেই তালিকায় নীচের দিকে স্থান পেয়েছে। চার দশকের মধ্যে দুই রাজ্য যেন নিজেদের অবস্থান অদলবদল করে নিয়েছে। ১৯৮১ সালে ভারতের সব রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদা ছিল মহারাষ্ট্রের। তারপর তালিকায় ছিল উত্তরপ্রদেশ এবং তারপরই ছিল বাংলা।
২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির ২৩ শতাংশ কৃষি নির্ভর। রাজ্যের ২৩ শতাংশ শিল্প নির্ভর এবং বাকি ৫৩ শতাংশ হল সার্ভিস নির্ভর। বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ৫.৮ শতাংশ। আর কর্ণাটকের অবদান ৮ শতাংশের ওপরে। ১৯৮১ সালেই এই পরিসংখ্যান ছিল উলটো। তখন দেশের অর্থনীতির ৯.১ শতাংশ অবদান ছিল বাংলার। এবং কর্ণাটক তখন ভারতের অর্থনীতিতে মাত্র ৫.৩ শতাংশ অবদান রাখত।
২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মাথা পিছু আয় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪২ টাকা। মাথা পিছু আয়ের নিরিখে পড়শি সিকিম অনেকটাই এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের থেকে। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ছোট্ট এই রাজ্যে মাথা পিছু আয় হল ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৬৬ টাকা। এদিকে বিহারে মাথা পিছু আয় বাংলার আর্ধেকেরও কম। সেই রাজ্যে এখন মাথা পিছু আয় ৫৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।
এদিকে বাংলরা অপর এক পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে মাথা পিছু আয় ৯৬ হাজার ৪৪৯ টাকা। অসমে এই পরিমাণ এখন ১ লাখ ১৯ হাজার ৩০৮ টাকা। এদিকে দেশের অন্য এক বাংলা অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা এই নিরিখে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে বর্তমানে মাথা পিছু আয় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৪ টাকা। কর্ণাটকে সেটা ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৭৪, তেলঙ্গনায় ৩ লাখ ১২ হাজার ৫২২ টাকা, মহারাষ্ট্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯, গুজরাটে ২ লাখ ৭২ হাজার ৪৫১, দিল্লিতে ৪ লাখ ৩০ হাজার ১২০ টাকা।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি হল ১৩.৭৯ ট্রিলিয়ন টাকা। এই তালিকায় সবেচেয়ে ওপরে থাকা মহারাষ্ট্রের অর্থনীতির পরিমাণ ৩১.৮০ ট্রিলিয়ন টাকা। কর্ণাটকের অর্থনীতি ২০.৫৬ ট্রিলিয়ন, গুজরাটের এবং উত্তরপ্রদেশের ১৯ ট্রিলিয়নের ওপরে। বাংলার পড়শি বিহারের অর্থনীতি ৬.৪৭ ট্রিলিয়নের, ঝাড়খণ্ডের অর্থনীতি ৩.৭৯ ট্রিলিয়নের, অসমের ৪.২৪ ট্রিলিয়নের।