উত্তর দিনাজপুরে পুলিশকে গুলি করে আসামী পালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত বন্দুক ও অন্যতম অভিযুক্ত আওয়ালের মোবাইল ফোন উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার গোয়ালপোখরের মহেশপুরে একটি পুকুর থেকে মোবাইল ফোন ও আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। এর ফলে স্পষ্ট হল, পুলিশকে গুলি করার দিন ও এনকাউন্টারের সময় আলাদা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম।
বুধবার পুলিশকে গুলিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক আবদুল ওরফে আওয়ালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন মহেশপুরে চাষের মাঠের মধ্যে একটি পুকুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও নিজের মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই পুকুরের জল ছেঁচার কাজ শুরু হয়। ডিজেলচালিত পাম্প ব্যবহার করে ছেঁচে ফেলা হয় গোটা পুকুর। রাতে আওয়ালকে সেখানে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। তার নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গা থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও মোবাইল ফোনটি।
এই ঘটনায় স্পষ্ট, পুলিশকে গুলি চালনার দিন ও এনকাউন্টারের দিন আলাদা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল সাজ্জাক। এছাড়া পুলিশকে গুলি করে সে যে আওয়ালের সঙ্গে দেখা করে আগ্নেয়াস্ত্র ফেরত দিয়েছিল তাও স্পষ্ট।
জানা গিয়েছে, ধৃত আওয়াল একজন বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন অপকর্ম করে সে। সেজন্য ৩ বছর ভারতের জেলে বন্দি ছিল আওয়াল। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার পরও আওয়াল কী করে ভারতে রয়ে গেল সেই প্রশ্নের জবাব এখনও জানাতে পারেনি রাজ্য পুলিশ।