সইফ আলি খানের উপর হামলার (Saif Ali Khan Attack Case) পর মামলাটি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। একদিকে অভিযুক্তদের আঙুলের ছাপ মেলে না, অন্যদিকে ফরেনসিক রিপোর্টে অনেক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে, অভিনেতার চিকিৎসা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি সইফের হাসপাতালে ভর্তির ফর্ম প্রকাশ করা হয়েছে। এখন সইফের কারণে বীমা কোম্পানির ওপর প্রশ্ন উঠছে।
আইআরডিএআই-কে চিঠি দিয়েছে এএমসি
আসলে, যখন সইফের চিকিৎসা (Saif Ali Khan Attack Case) শুরু হয়েছিল, তখন তিনি বীমা সংস্থার কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার অনুমোদন পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সইফ আলি খান ৪ দিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন এবং তাঁর ৩৬ লক্ষ টাকার বিল এসেছে। এখন বীমা কোম্পানি কীভাবে এত তাড়াতাড়ি অভিনেতাকে ২৫ লক্ষ টাকার অনুমোদন দিল? অ্যাসোসিয়েশন অফ মেডিকেল কনসালট্যান্টস (এএমসি) এই বিষয়ে আইআরডিএআই-কে একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে লীলাবতী হাসপাতালে অভিনেতার নগদহীন চিকিৎসার জন্য ২৫ লক্ষ টাকার অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সেলিব্রিটি বলেই কী লাভবান সইফ?
এই ধরনের ক্ষেত্রে, একটি এফআইআর কপি চাওয়া হয় এবং এটি স্বাভাবিক পদ্ধতির অংশ। চিঠিতে, অ্যাসোসিয়েশন প্রশ্ন করেছে যে সইফ আলী খান একজন সেলিব্রিটি এবং এজন্যই কি বীমা সংস্থা তাকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে? অস্ত্রোপচার এবং ৪ দিনের জন্য ভর্তির জন্য এত বড় বিল কীভাবে আসে? আর কীভাবে তা তাৎক্ষণিক অনুমোদন পেল, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে সইফের (Saif Ali Khan Attack Case) জায়গায় যদি একজন সাধারণ মানুষ থাকত, তাহলে কোম্পানিটি যুক্তিসঙ্গত এবং প্রথাগত চার্জ প্রয়োগ করত এবং দাবি করত না।
https://www.instagram.com/reel/DFRyigIza6C/?utm_source=ig_web_copy_link
সইফের হাসপাতালের বিল ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। মাত্র ৪ দিনে এত টাকার বিল কীভাবে হতে পারে? প্রশ্ন তুলছেন ভক্তরা। এদিকে, সইফ আলি খান এখন ভাল আছেন এবং নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। আজও তিনি পাপারাজ্জিদে ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী কারিনা কাপুর খানও। তাঁর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।