অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলার (Saif Ali Khan Attack Case) ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের সংযোগও সামনে এসেছে। মুম্বাই পুলিশের চারজন আধিকারিক শনিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পৌঁছেন। জানা গেছে যে তারা সইফ আলী খানের উপর হামলার তদন্ত করতে কলকাতায় এসেছেন এবং তাদের ক্লকাতায় আগমন এই তদন্তে একটি উত্তেজনাপূর্ণ মোড় দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে শিলিগুড়ির এক মৃত মহিলার নামে একটি মোবাইল সিম কিনেছিল এবং একই সিম ব্যবহার করেছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক কোথা থেকে এবং কীভাবে সিম কার্ডটি সংগ্রহ করেছিলেন তা জানতে মুম্বাই পুলিশ এসেছিলেন। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি থেকে সিমটি কেনা হয়েছিল। মুম্বাই পুলিশের তদন্তকারীরা কলকাতা পুলিশের মাধ্যমে শিলিগুড়ি পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের শিলিগুড়িতে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, শাহজাদ অসম ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন।
সীমান্ত অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছিল শরিফুল
পুলিশের দাবি, সাত মাস আগে মেঘালয়ে দাউকি নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল শাহজাদ। তারপর সে শিলিগুড়িতে প্রবেশ করে। কয়েক দিন ধরে সে সেখানে অবস্থান করছিল এবং স্থানীয় মেয়ে খুকুমুনি জাহাঙ্গীর শেখের আধার কার্ডের তথ্য জাল করে সিম কার্ডটি কিনেছিল। পরে জানা যায় যে ঐ মহিলা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। এবার তদন্তকারীরা সেই মামলার তদন্ত করতে চান।
পুলিশ আরও জানতে পারে যে, হামলার পর শাহজাদ বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সে হাওড়ার টিকিট কেনারও চেষ্টা করেছিলেন। যে এজেন্টদের সঙ্গে শাহজাদের যোগাযোগ ছিল, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শরিফুলের কাছে শিলিগুড়ির সিম পাওয়া গেছে
এখন মুম্বাই পুলিশ তদন্ত করছে যে সে কীভাবে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে এখন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে আসা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ এখন বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করবে। শরিফুলের বাবা স্বীকার করেন যে শরিফুল অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছিল। তার পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না।