বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ লেগেই আছে। অবৈধ পথে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। বাংলাদেশে যে শান্তির পরিস্থিতি নেই সামনে আসা তথ্য থেকেই প্রমাণ হচ্ছে। তার উপর বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপারে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশিরা। বিএসএফ সূত্রে খবর, একসপ্তাহে ১৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক এবং দু’জন ভারতীয় দালাল ধরা পড়েছে। এটা শেষ একসপ্তাহের হিসাব। তাহলে রোজ কতজন মানুষ চেষ্টা করছে এপারে অবৈধ অনুপ্রবেশ করার? যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে এই ঘটনা ঘটতে পারে আগাম আঁচ করেই সীমান্তে কড়া পাহারা দেওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে বহু বাংলাদেশি নাগরিক এবং জঙ্গিরা ধরা পড়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকরা এখন ত্রিপুরা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। আর তাতেই ১৪ জন ওপার বাংলার নাগরিক এবং দু’জন ভারতীয় দালাল ধরা পড়েছে একসপ্তাহে। বিএসএফ সূত্রে খবর, একাধিক অনুপ্রবেশকে ব্যর্থ করে চলেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে বহু অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকে দেওয়া গিয়েছে। এমনকী সীমান্তে চোরাচালান পর্যন্ত রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতীয় দালালরা সক্রিয় থাকায় এই অবৈধ অনুপ্রবেশ বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। আর এই ঘটনা ভারত–বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বেশি দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়—এসব সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটছে। বিএসএফের এক অফিসার বলেন, ‘একাধিক অপারেশন করা হচ্ছে। কখনও এককভাবে আবার কখনও যৌথভাবে। ১৪জন বাংলাদেশের নাগরিক এবং দু’জন ভারতীয় দালালকে ধরেছে বিএসএফ। আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, তাদের কাছ থেকে ভালরকম নারকোটিক্স, চিনি, গরু–সহ নানা নিষিদ্ধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২.৫ কোটি টাকা।’
এছাড়া মাদক পাচার, মানব পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ–সহ নিষিদ্ধ জিনিস পাচার করার বিপুল চেষ্টা ঠেকানো গিয়েছে ভারত–বাংলাদেশের ত্রিপুরা সীমান্তে। আর এসব ঠেকাতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে পাচারকারীরা। ত্রিপুরা সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বিজিবি’র সঙ্গেও সমন্বয় রেখে বিএসএফ নিরাপত্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত সমন্বয় নিয়ে একাধিক বৈঠকও করা হয়েছে বিজিবি’র সঙ্গে। এমনকী সীমান্তে বসবাসকারী ৪০টি গ্রামের মানুষজনের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে চলা হচ্ছে। যাতে কেউ এসে গা–ঢাকা দিতে না পারে। ত্রিপুরায় ৮৫৬ কিমি দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। যেসব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই তা করার ব্যবস্থা হচ্ছে।