কথা হয়েছিল। এবার কথা রাখার সময় এসে গিয়েছে। সংগঠনে রদবদল করা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কথা হয়েছিল। কালীঘাটের বাসভবনেই তা নিয়ে কথা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় সংগঠনে রদবদল করার। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠনগুলি উপর কড়া নজর রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার শাখা সংগঠনগুলিকে বার্তা দিয়েছেন। তাই আসন্ন রদবদলের তালিকায় শাখা সংগঠনগুলির একাধিক নেতৃত্ব বদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে ‘দল আগে ব্যক্তি পরে’ এই নীতি মাথায় রেখে সংগঠন সাজানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনই তৃণমূল কংগ্রেসে একটা ঝাঁকুনি দেওয়ার দরকার বলে মনে করেন দলনেত্রী। যাঁরা দলের গাইডলাইন কাজ করছেন না, সংগঠন বিস্তারে যাঁদের ভূমিকা নেই, তাঁদের পদ থেকে বদল করা হবে বলে সূত্রের খবর। ইদানিং কিছু অভিযোগ উঠছে কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। তাঁদের আর রেয়াত করা হচ্ছে না। সে যত বড় নেতাই হোন বা যে নেতারই ছত্রছায়ায় থাকুন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করতে পিছপা হচ্ছে না দল। শান্তনু সেন, আরাবুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দিয়েছে, ‘দল আগে ব্যক্তি পরে’।
অন্যদিকে শাখা সংগঠনগুলিতে এবার রদবদল হতে চলেছে এই নীতিকে সামনে রেখে বলে জানা যাচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসর ডাক্তার সেলকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। তখন বিরোধীরা ব্যাপক কুৎসা–অপপ্রচার করেছিল। এই ঘটনায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সেটা ধরা পড়েছে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন তৈরির মধ্যে দিয়ে। কয়েকটি শাখা সংগঠনের কাজে খুশি নন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার তাদের উপর কোপ পড়বে। শাখা সংগঠনের সেইসব মাথাদের ঘ্যাচাং ফুঁ করা হবে বলে সূত্রের খবর। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার পারফরম্যান্স ভাল। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি ভাল কাজ করছে। তাই ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় পুরষ্কার পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ পদ।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের ছাত্র, যুব থেকে শুরু করে ব্লক, অঞ্চল, জেলা এবং অন্যান্য শাখা সংগঠনের নেতৃত্বে বদল আসবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা চান তাতে এবার সিলমোহর দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘দলের এসসি, এসটি, ওবিসি সেল ও কৃষক–খেত মজুর শাখা সংগঠনের পারফরম্যান্স নিয়ে কাঁটাছেড়া হয়েছে। অনেকগুলি শাখা সংগঠনে চাপ পড়বে। সারাবছর যাঁদের ঝাঁপাতে দেখা যায় না তাঁদের উপর দলনেত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই নেবেন।’