Kerala student death। চাটানো হল টয়লেটের সিট, ভয়ঙ্কর র‍্যাগিং! অপমানে আত্মঘাতী পড়ুয়া

Spread the love

বেসরকারি স্কুলে সহপাঠীকে ভয়ঙ্করভাবে র‌্যাগিং(Ragging)। মারধরের পাশাপাশি টয়লেটের সিট চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে। সেই অপমানে শেষ পর্যন্ত ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন শেষ করেছিল পড়ুয়া। কেরলের সেই ঘটনায় তদন্তের জন্য সিট গঠন করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিট। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৫ জানুয়ারি। মৃত ছাত্রের নাম মিহির আহমেদ (১৪)। এই ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।

মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এবং রাজ্য পুলিশ প্রধানের কাছে এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে চিঠি লেখেন কিশোরের মা রাজনা। অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের তিনি ছেলেকে জিইএমএস মডার্ন অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করেছিলেন। তারপর থেকেই মিহিরকে র‌্যাগিং করা শুরু করে তার সহপাঠীরা। স্কুলে এমনকী স্কুল বাসেও র‌্যাগিং করা হতো তাকে। শুধু তাই নয়, মারধরও করা হতো। মিহিরের মায়ের অভিযোগ, সহপাঠীরা তাকে জোর করে ওয়াশরুমে নিয়ে যায় এবং অপমানজনক আচরণ করে। তাকে টয়লেটের সিট চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল ১৫ জানুয়ারি। এরপর বিকেলে মিহির স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসে। পরে ত্রিপুনিতুরা এলাকার অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ২৬ তলা থেকে সে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।

রবিবার মিহিরের বাবা-মায়ের বিস্তারিত বয়ান রেকর্ড করেছে সিট। তদন্তে এমন রিপোর্টও সামনে এসেছে যে মিহির আগে যে স্কুলে পড়ত সেখানেও তাকে র‌্যাগিং করা হতো। মিহিরের মামা শরীফ জানান, পড়ুয়াদের অনলাইনে কথোপকথনে দেখা গিয়েছে, মিহির স্কুলে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল।

এদিকে, ছেলের মৃত্যুর পর রাজনা প্রিন্সিপালকে চিঠি লিখেছিলেন এবং মেসেজের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, যে স্কুলের তরফে তাকে জানানো হয়েছিল যে তারা বিষয়টি পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে। তবে মিহিরের মায়ের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ, সুনাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় র‌্যাগিংয়ের ঘটনা গোপন করার চেষ্টা করছে।জিইএমএস মডার্ন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া অনুমান এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে এটিকে র‌্যাগিং বলা যায় না। স্কুলের তরফে র‌্যাগিংয়ের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলা হয়েছে। এরপরেই রবিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে ভাইস প্রিন্সিপাল বিনু আজিজকে বরখাস্ত করেছে। এর্নাকুলাম শিক্ষার ডেপুটি ডিরেক্টর শনিবার স্কুল পরিদর্শন করেন। কেরল স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে। জেলা পুলিশের তরফে প্রিন্সিপ্যাল এবং অন্যান্যদের নোটিশ জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *