দীর্ঘদিন ধরেই আইএসএলে খারাপ রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দলগুলো। একাধিকবার ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান, পঞ্জাব এফসির মতো দলগুলো তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছে এই ইস্যুতে, কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি এআইএফএফ। এবার একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিদ্রোহের পথে হেঁটে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে নালিশ করে এলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
ডার্বিসহ একাধিক ম্য়াচেই এবারের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের তরফে দাবি করা হয়েছিল ন্যয্য হ্যান্ডবলসহ কখনও পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে দলকে। আবার কখনও অন্যয়ভাবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে রেফারিরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। লিস্টন কোলাসোর হাতে বল লাগা নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল। যদিও এআইএফএফের চিফ রেফারি অফিসার ট্রেভর কট্রেল জানিয়ে দিয়েছিলেন রেফারির সিদ্ধান্ত নির্ভুল ছিল। যদিও তাতে খুশি হয়নি ইস্টবেঙ্গল।
পঞ্জাব এফসিও রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ
এছাড়াও পঞ্জাব এফসিও কদিন আগে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচে রেফারির খারাপ সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছিল। এছাড়াও তাঁরা সরাসরি ফেডারেশনকে হুমকি দিয়েছিল, এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা দল তুলে নেবে আইএসএল থেকে। যদিও তাতেও এআইএফএফ বা এফএসডিএলের তেমন কিছু প্রভাব পড়েনি।
ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বারস্থ ইস্টবেঙ্গল
মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তারা তো শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে রেফারিরা একের পর এক সিদ্ধান্ত দিচ্ছে বলে। এবার ইস্টবেঙ্গল দলই যেন প্যান্ডোরার বক্স খুলে দিল। তাঁরা সরাসরি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে চলে যাওয়া পঞ্জাব এফসিসহ অন্যান্য দলগুলোও অনেকটা জোর পেল। ইস্টবেঙ্গলের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দেবব্রত সরকার এবং সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়।
ক্রীড়ামন্ত্রীর আশ্বাস লালহলুদকে
এরপর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে সচিব রুপক সাহা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে রেফারির সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছিলাম। AIFF ও রেফারিং অ্যাসোসিয়েশনের কাছে বারবার দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এর বিচার চেয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলাম। আমাদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী আজ (রবিবার) তাঁর নিউ দিল্লির বাসভবনে সকাল ১০ টার সময়ে সাক্ষাতের সময় দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিস্তারিতভাবে সব সমস্যাগুলো শুনেছেন এবং আমাদের অভিযোগগুলোকে মান্যতা দিয়ে এই মন্তব্য করেছেন যে, কোনো ক্লাবের ক্ষেত্রেই এটা অভিপ্রেত নয় এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাথে তো নয়ই। তিনি এও বলেন যে, সমস্ত কিছু স্বচ্ছতা আর বিচক্ষণতার সাথে দেখা উচিত। তাই প্রয়োজন হলে তাঁর দপ্তর থেকে অবজার্ভার নিয়োগ করে এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে , আগামী দিনে যদি ক্লাব কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে তাঁকে যেনো জানানো হয়। ’
১লা অগাস্টের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ
প্রসঙ্গত ক্রীড়ামন্ত্রীকে ক্লাবের তরফে সাম্মানিক সদস্যপদ গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন লালহলুদের দুই কর্তা। এছাড়াও তাঁকে ১লা অগাস্টে ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্যেও আবেদন জানান ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা।