মহিলা ভক্তের ঠোঁটে চুমু উদিতের! ‘বেডরুম আর রাস্তাঘাট একাকার…’

Spread the love

শাড়ির আঁচল প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মমতা শঙ্কর। তারপর তাঁর নানা বক্তব্য নিয়ে উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। আর এবার মঞ্চে গান গাওয়ার মাঝেই তরুণীকে ঠোঁটঠাসা চুমু খেয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পরা উদিত নারায়ণ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর। বললেন, ‘বেডরুম আর রাস্তাঘাট একাকার হয়ে গেল।’

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জনপ্রিয় গায়ক উদিত নারায়ণের চুমুর ভিডিয়ো। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে মঞ্চে গান করছিলেন উদিত। আর সেই সময় এক মহিলা অনুরাগী তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে এসে উদিত নারায়ণের গালে চুমু দেন, আর তারপর গায়ক সেই মহিলার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসেন। তবে প্রথমে নেটিজেনদের একাংশ ভেবেছিলেন এটা মনে হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোনও কারসাজি, কিন্তু পরে ভিডিয়োর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর, একজন বর্ষীয়াণ গায়কের এই আচরণে বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। অন্যদের মতো মমতা শঙ্করও প্রথমে এই ঘটনা বিশ্বাস করতে চাননি! তবে আসল সত্যি জানার পর তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে আক্ষেপের সুর।

আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, কোথাও একটা সংযম, সীমারেখা থাকা দরকার। সে সব যদি মুছে যেতে থাকে, তা হলে এ রকমই ঘটনা ঘটবে। তিনি বলেছেন, ‘এ সব কী হচ্ছে? একসঙ্গে সকলের মাথাখারাপ হয়ে গেল নাকি! হাসব না কাঁদব— বুঝতে পারছি না। বেডরুম আর রাস্তাঘাট একাকার হয়ে গেল।’

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণও দিয়েছেন। উত্তমকুমারের কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কী করেছেন জানি না। কিন্তু প্রকাশ্যে কখনও কাউকে অসম্মান করেননি। প্রত্যেককে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েছেন। সেই জন্যই আজও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয়। সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়।’ তিনি জানান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য।

বহু বছর ধরে সম্মানের সঙ্গে টলিপাড়ায় কাজ করছেন তিনি, কিন্তু অনুরাগীদের কারণে অনেক সময় নানা রকমের অপ্রস্তুত অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় তারকাদের, অভিনেত্রীকে কি সে রকম কোনও অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনুরাগী দূর অস্ত, ইন্ডাস্ট্রি থেকেও এ রকম অনুরোধ জানানোর সাহস কেউ পাননি। কারণ, সারাক্ষণ আমার চারপাশে সংযমের গণ্ডি টানা থাকে। পোশাকে, আচরণে কখনও সেই গণ্ডি অতিক্রম করিনি।’

অন্যদিকে, চুমু বিতর্কে উদিত নারায়ণ HT City কে বলেছিলেন, ‘অনুরাগীরাই আসলে পাগল হয়ে যান। আমরা এমন নই, আমরা ভদ্র মানুষ। কিছু লোকের এতে উৎসাহ থাকে। তাঁরা এটার মাধ্যমে ভালবাসা প্রকাশ করেন। ভিড়ের মধ্যে এত মানুষ, আমাদের দেহরক্ষীও উপস্থিত। তবে অনুরাগীরা মনে করেন তাঁরা দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন, তাই কেউ হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করেন, কেউ চুমু খান… এগুলো সবই ভালোবাসা, এটাকে এত পাত্তা দেওয়া উচিত নয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *