Jogesh Chandra College Saraswati Puja। পুজোর দিনে ব্রাত্যের সামনে কান্না যোগেশের ছাত্রীর

Spread the love

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে ব্রাত্য বসুর সামনে কেঁদে ফেলেন এক ছাত্রী। আর তাঁকে চূড়ান্ত কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেন, যে ছাত্রী কেঁদে ফেলেছেন, তিনি যোগেশচন্দ্র কলেজের যে পরবর্তী নাটক আসবে, তাতে ‘কান্নার রোল’ করবেন। কুণালের কথায়, ‘যিনি কান্নাকাটি করেছেন, তিনি খোঁজ নিলে দেখবেন, হয়তো কলেজের নাটকেও তিনি কান্নার পার্ট করেন। সুতরাং যে কোনও কারণে একটা কেঁদে ফেললেন…এখন এতগুলো ক্যামেরা দেখেছেন, জানেন কোনটা বললে, আর কী বললে চারটে খবর ব্রেকিং নিউজ হিসেবে যাবে। এবার সেটা কারও পরামর্শে বলেছেন। পরেরবার ওদের কলেজের যে নাটক আসবে, তাতে কান্নার রোল করবে।’

আর সেই পুরো ঘটনাটি ঘটেছে সরস্বতী পুজোর আয়োজন এবং বহিরাগতদের প্রবেশকে কেন্দ্র করে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সশস্ত্র পুলিশের নিরাপত্তায় যোগেশচন্দ্র ল কলেজের সরস্বতী পুজো হচ্ছে। পুজো দেখতে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য। সেইসময় তাঁর সামনে বিক্ষোভ চলে। ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। তারইমধ্যে ব্রাত্যের সামনে কেঁদে ফেলেন এক ছাত্রী।

ব্রাত্যের সঙ্গে ছাত্রীর কথোপকথন

ব্রাত্য: আজকে তো পুজোর দিন। আজকে দাবি-দাওয়ার দিন নয়। যদি দাবি-দাওয়া থাকে, প্রিন্সিপালকে জানাও। প্রিন্সিপালের সঙ্গে বসে আমরা সমাধান করব।

ছাত্রী: আমরা পারছি না স্যার। 

ব্রাত্য: ১০০ শতাংশ বলো।

ছাত্রী: আমরা এভাবে পারছি না স্যার। 

ব্রাত্য: কেন বলব না তোমাদের সঙ্গে কথা।

কলেজের প্রিন্সিপালকেও তোপ কুণালের

আর ওই ছাত্রীর কেঁদে ফেলার ঘটনা নিয়েই আক্রমণ করেছেন কুণাল। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, দক্ষিণ কলকাতার যোগেশচন্দ্র কলেজের আইন বিভাগ এবং দিবা বিভাগের মধ্যে সরস্বতী পুজোর আয়োজন নিয়ে সংঘাত হয়েছে। কলেজের প্রিন্সিপালকে তোপ দেগে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাব্বির আলির নাম টেনে এনে অহেতুক ধর্মীয় রং চড়াচ্ছেন

‘কলেজের ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই’

তারইমধ্যে ব্রাত্যের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বৈঠকের বিষয়ে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের পঞ্চম সেমেস্টারের ছাত্রী দেশমা ঘোষ বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমরা শুধু আমাদের কলেজের ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। এটা কোনও রাজনৈতিক ব্যাপার নয়।’

উল্লেখ্য, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজ এবং যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের ক্লাস হয় একই ক্যাম্পাসে। হাইকোর্টে যোগেশচন্দ্র আইন কলেজের পড়ুয়ারা দাবি করেন, তাঁরা যেখানে সরস্বতী পুজো করেন, সেখানে বেআইনি নির্মাণ তৈরি করেছেন যোগেশচন্দ্র কলেজেরই ডে বিভাগের প্রাক্তনীরা। দখল করে নেওয়া হয়েছে পুজো জায়গা। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই কলেজে বহিরাগতরা অবাধে ঢুকে পড়ছেন।

আইন কলেজের পড়ুয়াদের সেই দাবির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করে সরস্বতী পুজো করতে হবে। যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ এবং ডে কলেজের সরস্বতী পুজোর নজরদারির দায়িত্বে থাকতে হবে উচ্চপদস্থ কর্তাদের। কোনওভাবেই বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। যদিও তারপরও বহিরাগতরা ঢুকছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন যোগেশচন্দ্র আইন কলেজের পড়ুয়ারা। এক ছাত্রীর দাবি, ‘রেপ থ্রেট’ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *