Mamta Kulkarni। ১০ কোটি টাকা দিয়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ কিনেছেন?

Spread the love

মহাকুম্ভে গিয়ে সন্ন্যাস নেন, কিন্নর আখড়ার তরফে মহামণ্ডলেশ্বর ঘোষণা করা হয়েছিল মমতা কুলকার্নিকে(Mamta Kulkarni)। এদিকে তাঁর মতো প্রাক্তন বিতর্কিত অভিনেত্রীকে মহামণ্ডলেশ্বর পদ দেওয়া নিয়ে তৈরি হয় তীব্র বিতর্ক। আর তারপরই কিন্নর আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয় মমতাকে। অভিযোগ মমতা নাকি এই মহামণ্ডলেশ্বর হওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ করেছেন!

সত্যিই কি টাকার বিনিময়ে এই পদ কিনেছিলেন মমতা?

সম্প্রতি ‘আপ কি আদালত’-এ এসে এবিষয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন মমতা কুলকার্নি। তিনি বলেন, ‘মেরে পাস ১০ ক্রোড় তো কেয়া! ১ ক্রোড় ভি নেহি হ্যায়। মেরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গভর্মেন্ট নে সিজ কর দিয়া। আপকো মালুম নেহি হ্যায় ম্যায় কিস তরহা সে রেহ রহি হুঁ। মেরে পাস পয়সা নেহি হ্যায়, কিসি সে উধর লেকে ২লাখ, বোভি জো গুরু কো দক্ষিণা দেনি হোতি হ্যায়। (১০ কোটির কথা ভুলে যান। আমার কাছে ১ কোটি টাকাও নেই। সরকার আমার ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। আপানাদের ধারণাও নেই আমি কীভাবে বেঁচে আছি। আমার কাছে কোনও টাকা নেই। মহামণ্ডলেশ্বর হওয়ার জন্য গুরুকে দক্ষিণা নিবেদন করতে হয়, সেটার জন্যও একজনের থেকে ২ লক্ষ টাকা ধার করতে হয়েছিল।’

এখানেই শেষ নয়, মমতা আরও জানান, ‘আমার তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেখানে উইপোকার উপদ্রব, কারণ সেগুলি গত ২৩ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। আমি কী ভয়ানক আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তা বর্ণনা করতে পারব না।’

প্রসঙ্গত, কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবা রামদেব। তিনি বলেন, ‘একদিনে কেউ সন্ন্যাস গ্রহণ করতে পারে না। আজকাল দেখছি, যে কেউ মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যা পেয়ে যাচ্ছেন।’ ইতিমধ্যেই বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে কেউ কীভাবে মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যা পেয়ে যেতে পারেন! যাঁদের অন্তর প্রকৃতই সন্ন্যাসীর মতো, তাঁদেরই শুধুমাত্র এই পদ দেওয়া উচিত।’

এদিকে ইতিমধ্যেই মমতাকে কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস নিজেই সেকথা জানিয়েছেন। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘কোনও ধর্মীয় বা আখড়া ঐতিহ্য অনুসরণ না করে, এবং তাকে প্রথমে সন্ন্যাসী না করে, তাকে সরাসরি মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি এবং পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। তাই দেশ, সনাতন ধর্ম ও সমাজের স্বার্থে আমি তাঁকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *