সেক্সের সময়ই যুবককে ‘খুন’ পাড়ার বৌদির

Spread the love

একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের বেরিলির এক মহিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার সময় এক মহিলা এক যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলার দাবি, ইকবাল আমার সঙ্গে ব্ল্যাকমেল করত। এদিকে তারও অন্য কোনও উপায় ছিল না। ৩২ বছর বয়সি ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দিন দুয়েক আগে ইকবাল নামে ওই যুবকের দেহ মিলেছে তার বাড়ির কাছেই।

ওই মহিলা পুুলিশকে জানিয়েছে, ইকবাল জরি শিল্পী। মাঝেমধ্য়েই সে তার বাড়িতে আসত। এরপর তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তারা একে অপরকে মোবাইল নম্বর দেয়। মাঝেমধ্য়ে ফোনে তাদের মধ্য়ে কথা হত। এরপর ইকবাল একদিন বলেন, আমার বাড়িতে এসো। এরপর সেখানে ইকবাল তাকে জোর করে তার সঙ্গে সেক্স করে বলে অভিযোগ। এদিকে তিনি যখন বলেন যে এরকম করলে তিনি স্বামীকে বলে দেবেন। ইকবাল এরপর বলেন যে তার কাছে কল রেকর্ডিং আছে। তিনি সংসার ভেঙে দেবেন।

ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, আমার বাচ্চা রয়েছে। আমি সব সহ্য করছিলাম। এরপর বার বার ব্ল্যাকমেল করে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করত। আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। বুধবার ইকবাল তার স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে আসতে গিয়েছিল। যখন ফিরছিল তখন বলি তোমার সঙ্গে কথা আছে। আমার সঙ্গে দেখা করো।

এরপর ইকবাল দুটো বড়ি দিয়েছিল যে দুটি বড়ি যেন তার স্বামীকে দেওয়া হয়। সেই মতো সেই বড়ি দুটিকে খাইয়ে দেন ওই মহিলা। ওই মহিলা জানিয়েছেন, রাত ৮টা নাগাদ আমি স্বামীকে চা দিয়েছিলাম। এরপর কাপে বড়ি দুটি দিয়েছিলাম। এরপর ফোন দেখতে দেখতে স্বামী ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর ইকবালের সঙ্গে ফোনে কথা বলি। ইকবাল আমাকে বাড়িতে আসতে বলে। সেই মতো আমি ওর বাড়িতে যাই। ও জানিয়েছিল বাড়িতে কেউ নেই।

ওই মহিলা জানিয়েছে ইকবাল এত বিশ্বাসঘাতকতা করত যে তাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, তার বাড়িতে গিয়ে এটা ঠিক করে নিয়েছিলাম হয় আমি মরব নাহলে ওকে মারব। আমরা কথা বলছিলাম। সেই সময় সে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। এরপর তার বুকের উপর বসে পড়ি। হাতটা চেপে ধরি। এরপর এক হাত দিয়ে মুখটা চেপে ধরি। এরপর অন্য় হাত দিয়ে শ্বাসরোধ করে ফেলি। এরপর মরে গিয়েছে বুঝতে পেরে সিঁড়ি পর্যন্ত দেহটা টেনে নিয়ে গিয়ে চলে আসি। আমি পরিবারকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্যপথ ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *