চটুল গানের সঙ্গে নাচছিলেন পাত্র! রেগে ফায়ার কনের বাবা

Spread the love

বলিউডের গানের সঙ্গে নাচ না হলে যেন ঠিকঠাক জমে না ভারতীয়দের বিয়ে। তবে সেই সব গানের কিন্তু আলাদা মানেও রয়েছে। কিন্তু বহুক্ষেত্রে দেখা যায় যে সেই সব মানেকে আমরা এড়িয়ে যাই। আনন্দে মেতে উঠি। কারণ বিয়ে বলে কথা!

কিন্তু এই গানের জন্য় যে বিয়ে ভেঙে যাবে তা একেবারে কল্পনার অতীত। আসলে বিয়ে বাড়িতে গান বাজছিল ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়।’ আর সেই গানের সঙ্গে নাচছিলেন পাত্র। তবে এটা একেবারে ভালো লাগেনি কনের বাবার। এরপর তিনি একেবারে বিয়ে বাতিল করে দেন।

আসলে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়দের নিয়ে বিয়ের আসরে এসেছিলেন বর। একেবারে জমে উঠেছে বিয়ে বাড়ি। সেই সময় বরের কয়েকজন বন্ধু বলেন, চলো যেখানে নাচানাচি হচ্ছে সেখানো চলো। সেই মতো বরও যান নাচের আসরে।

আর সেই সময় গান বেজে ওঠে। বেশ গান হচ্ছিল। নাচছিলেন পাত্র। এমন সময় সেখানে এলেন কনের বাবা। তিনি একেবারে রেগে ফায়ার। এই গানের সঙ্গে নাচছে পাত্র। এরপরই তিনি রেগে বিয়ে বাতিল করে দেন। এদিকে কনে নানাভাবে বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাবা কিছুই শুনছিলেন না।

তিনি সাফ জানিয়ে দেন এমন ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেব না। এই বিয়েতে তার মত নেই। তবে শেষ পর্যন্ত বহু বোঝানোর পরে কিছুটা আশ্বস্ত হন কনের বাবা। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত বিয়ের আসরে যেতে চাননি। এমনকী বরকনের পাশেও যেতে চাননি তিনি।

এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে একজন লিখেছেন, শ্বশুরমশাই ঠিক কাজ করেছেন। না হলে এই নাচ রোজ দেখতে হত। অপর একজন লিখেছেন, দেখে শুনে বিয়ে হওয়ার ব্যাপারটা পুরো যুদ্ধক্ষেত্র। আর এখানে কনের বাবা পুরো জিতে গিয়েছেন। অপর একজন লিখেছেন, কাকার এবার ফাদার অফ দ্য় ইয়ার তকমা পাওয়ার যোগ্য।

আসলে ওই চটুল গানের সঙ্গে নাচছিলেন বর। সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি কনের বাবা। সেকারণেই তিনি রেগে যান। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল এটা তাদের পরিবারের মূল্যবোধের সঙ্গে ঠিক যায় না। সেকারণে তিনি রেগে যান। এরপর তিনি বিয়ে না দেওয়ার কথা বলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ের আসরে যাননি। এমনকী এতটাই রেগে যান যে বর-কনের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *