রাজনীতি মানেই যখন দুর্নীতি, তখন এক উলটপুরানের সাক্ষী হল রাজ্যবাসী। উপার্জন করার ক্ষমতা হারিয়ে ভিক্ষার বাটি নিয়ে তারাপীঠ শ্মশানে ভিক্ষাবৃত্তি করতে বসলেন এক বিজেপি নেতা। যেমন তেমন নেতা নন, যিনি কয়েকদিন আগেও রাজ্য বিজেপির নেতা – কর্মীদের কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হতে সাহায্য করতেন। তিনিই না কি চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছেন। তারাপীঠ শ্মশানে তাঁকে দেখে চিনতে পেরেই শোরগোল শুরু হয় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। ভাইরাল হয় ছবি। অবশেষে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumder) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) তৎপর হয়ে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন।
সম্প্রতি বিজেপির বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয় একটি ছবি। তাতে বিজেপি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিনহা ওরফে বুলেটকে তারাপীঠ শ্মশানে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। রাজ্য বিজেপির স্বাস্থ্য ও পরিষেবা সেলের প্রাক্তন আহ্বায়ক ইন্দ্রজিৎবাবু। জানা যায়, শারীরিক অসুস্থতার জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উপার্জন। সংসার প্রতিপালন করতে তাই ভিক্ষাবৃত্তিকে অবলম্বন করেছেন তিনি। ছবি ছড়াতেই রাজ্য বিজেপি নেতাদের মধ্যে শোরগোল পড়ে। খবর পেয়ে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রব সাহাকে ফোন করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্রুত ইন্দ্রজিৎবাবুকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন তিনি। ওদিকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে সেখানে ইন্দ্রজিৎবাবুকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অ্যাম্বুল্যান্সে করে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
কিছুদিন আগেও জেলা থেকে আগত বিজেপি নেতা – কর্মীদের কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হতে সাহায্য করতেন ইন্দ্রজিৎবাবু। তিনিই কি না বিনা চিকিৎসায় ভিক্ষাবৃত্তিকে উপার্জনের পথ হিসাবে বেছে নিয়েছেন! রাজনীতি মানেই যেখানে দুর্নীতি। রাজনৈতিক নেতা মানেই যেখানে মোটা মোটা গাড়ি আর উঁচু উঁচু বাড়ি, সেখানে বুলেটবাবুরা মনে করান ফেলে আসা সময়কে।