Madan Mitra Latest Update। ডিগবাজি ‘বিস্ফোরক’ মদনের! ‘পদ বিক্রির অভিযোগ’ ইস্যুতে চিঠি বক্সীকে

Spread the love

সম্প্রতি নিজের দল এবং আইপ্যাক নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র(Madan Mitra)। তাঁর অভিযোগ ছিল, টাকা দিয়ে নাকি দলের পদ ‘বিক্রি’ হয়। মমতার সরকারে মন্ত্রী হতে হলেও নাকি দিতে হয় কোটি কোটি টাকা। এই সব বিস্ফোরক অভিযোগের আবহে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল বাংলার শাসকদল। এই আবহে মদনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও জল্পনা শুরু হয়। এরই মাধে এবার নিজের সব মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি লিখলেন মদন মিত্র। তাতে কামারহাটির বিধায়ক আবেদন করেন, তাঁকে যেন ভুল না বুঝে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। তাঁর আরও দাবি, সংবাদমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য নাকি বিকৃত করে দেখানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, নিজের চিঠিতে মদন মিত্র লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিককালে আমার মন্তব্য সংবাদমাধ্যমের একাংশে বিকৃতভাবে প্রকাশ করেছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের সকলের সভানেত্রী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মর্মাহত হয়েছেন। এর জন্য আমি লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। এবং দলকে অনুরোধ করছি, আমায় ভুল না বুঝে ক্ষমা করার জন্য।’ মদন মিত্র এই চিঠি প্রসঙ্গে অবশ্য জানান, তাঁকে দলের তরফ থেকে এই নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে তাঁর নিজের মনে হয়েছে বলেই তিনি এই চিঠি লিখেছেন রাজ্য সভাপতিকে

এর আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের অন্দরে এখন টাকার খেলা চলছে। এমনকী মন্ত্রীদের দর প্রায় ১০ কোটি। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের কোনও সেল বা জেলা স্তরের দলীয় পদের জন্যেও কয়েক লাখ টাকা করে দিতে হয়। এর পরে অবশ্য তিনি দলের থেকে আঙুল সরিয়ে আইপ্যাকের দিকে তুলেছিলেন। তাঁর ‘পদ বিক্রির’ অভিযোগ নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড় হতেই মদন মিত্র আবার বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে কোথাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করিনি। আমার সেই ঔদ্ধত্যও নেই। অজান্তে কোনও কথা যদি রূপক অর্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে স্পর্শ করে থাকে তাহলে ক্ষমা চাইছি। আমাদের পার্টিতে এসব কিছু ছিল না। টাকাপয়সা, লেনদেন। এই একটা এজেন্সি আমাদের পার্টিতে ঢুকল, ভোট কুশলী সংস্থা। তারা নাকি জিতিয়ে দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অজান্তে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছেলে তাদের কেউ ২৫ লাখ, কেউ ৫০ লাখ দিয়েছে। তারা কেউ নমিনেশন পায়নি। লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছে না। কোথায় আইপ্যাক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *