একেবারে বিস্ফোরক মদন মিত্র(Madan Mitra)। একেবারে সরাসরি আইপ্যাকের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করলেন তিনি।
এর আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের অন্দরে এখন টাকার খেলা চলছে। এমনকী মন্ত্রীদের দর প্রায় ১০ কোটি। এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ফের এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন মদন মিত্র।
মদন মিত্র বলেন, আমি যদি ৫ মিনিটের বক্তব্যও রেখে থাকি, ৪ মিনিটের বক্তব্যও রেখে থাকি তবে তার কোথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম ছিল না। আমার সেই ঔদ্ধত্যও নেই। অজান্তে কোনও কথা যদি রূপক অর্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে স্পর্শ করে থাকে আমার ঔদ্ধত্য তাহলে ক্ষমা চাইছি।
মদন মিত্র বলেন, আমাদের পার্টিতে এসব কিছু ছিল না। টাকাপয়সা, লেনদেন। এই একটা এজেন্সি আমাদের পার্টিতে ঢুকল, ভোট কুশলী সংস্থা। তারা নাকি জিতিয়ে দেবে। আমি কামারহাটিতে আমায় শেখানো হচ্ছে সকালে উঠে কীভাবে ব্রাশ করবে। তারপর ডানদিকে তাকাবে নাকি বাঁ দিকে তাকাবে। এাা শুরু করল নাম কালেক্ট করে টাকা তোলা। এরাই গোটাটা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অজান্তে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছেলে তাদের কেউ ২৫ লাখ, কেউ ৫০ লাখ দিয়েছে।
এজেন্সির ছেলেদের। আইপ্যাকই ছিল তখন। তারা কেউ নমিনেশন পায়নি। লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছে না। কোথায় আইপ্যাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো বলেননি তোমরা আইপ্যাকের হাতে টাকা দাও। কোথাও তো বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন যারা কাটমানি নিচ্ছে যে কেনার চেষ্টা করছে, তৃণমূলের শিরদাঁড়া বিক্রি হয় না, টাকার কাছে বিক্রি হয় না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কি আপনার কথা শুনে দুঃখিত হয়েছেন?
মদন মিত্র বলেন, আমায় তো বলেননি। আর আমি অনেক ক্ষুদ্র। কিন্তু আমার বিবেকের কাছে দংশিত হচ্ছি।…আইপ্যাক আসার আগে আমাদের এত টাকার দরকার হত না। এত সাজানো স্টেজ। যতবার জিতেছি..মমতা যে সাতবার জিতেছেন তখন আইপ্যাক কোথায় ছিল! …ঠিক আছে আইপ্যাক এসেছে তাদের সাধ্যমতো কাজ করেছে। পার্টি থেকে যদি নেওয়া হয় আইপ্যাককে তবে ওরা কাজ করবে। তবে আমার সঙ্গে কারোর ডিসপিউট নেই। মমতাকে বাদ দিয়ে যদি কোনও চক্রান্ত হলে মদন মিত্র চুপ করে বসে থাকবে না। বরদাস্ত করবেন না।
টাকার খেলা করছে কারা?
মদন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিশ্বাসই করতে পারেননি। করেছে গুজরাট, বিহার থেকে আসা লোকজন। আমাদের লোকজনকে বধ করেছে। একটা কলেজ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কে হবেন সেটা নিয়ে ১৮ বার রিসার্চ হয়েছে। …
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেলফি নেওয়ার সময়ও সতর্ক থাকতে।’