Bangladesh Govt on Hindu Murders।  বাংলাদেশে ২৩ সংখ্যালঘুকে খুনের অভিযোগ! ‘সাম্প্রদায়িক হিংসা না’

Spread the love

শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পর থেকে ৪ মাসে সাম্প্রদায়িক হিংসায় ২৩ জন সংখ্যালঘুকে খুন করা হয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তবে এই ঘটনাগুলির মধ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নেই। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে ২৩টি খুনের ঘটনার কথা ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করানো হয়েছে। তার মধ্যে দেখা গিয়েছে, ২২টি ঘটনার প্রাথমিক কারণ জানা গিয়েছে। ইউনুসের সরকারের দাবি, এই ২২টি ঘটনার একটাও সাম্প্রদায়িক হিংসা নয়। 

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানায়, ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭৪টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তারা দাবি করেছিল, এই সব সহিংসতার ঘটনায় ২৩ জন সংখ্যালঘু প্রাণ হারিয়েছিলেন। গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ৯টি। মন্দির এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু উপাসনালয়ে হামলার ৬৪টি ঘটনা ঘটেছিল। সংখ্যালঘুদের ৩৮টি বাড়ি, দোকানে লুটপাট বা অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ২৫টি ক্ষেত্রে বাড়ি ও দোকান বা সম্পত্তি জবরদখলেরও অভিযোগ করা হয়েছিল। 

এই ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ডেপুটি প্রেস সচিব মহম্মদ আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবিকে অন্তর্বর্তী সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং উল্লিখিত ২৩টি হত্যাকাণ্ডের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই তালিকা প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে কী কী আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘটনা সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। বাকি ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের তথ্য উদ্ধৃত করে সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, এই খুনের ঘটনাগুলির ৭টি লুটপাট সম্পর্কি, ৪টি ব্যক্তিগত কারণে, ৩টি সাধারণ অপরাধ, ২টি ক্ষেত্রে দুই ক্ষেত্রের মারামারি, ২টি দুর্ঘটনা, ২টি ব্যবসায়িক শত্রুতা, ১টি স্থানীয় সংঘাত, ১টি জমি বিরোধ সংক্রান্ত এবং একটি আত্মহত্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *